ঢাকা রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে এজলাসের প্রবেশমুখে আনিসুল হককে মারধর

নারায়ণগঞ্জে এজলাসের প্রবেশমুখে আনিসুল হককে মারধর

নারায়ণগঞ্জে আদালতের এজলাসের প্রবেশমুখে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হাফেজ সোলাইমান হত্যা মামলায় আনিসুল হককে রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, শুনানি চলাকালে আদালত ভবনের বাইরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ‘আনিসুল হকের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দেন। শুনানি শেষে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় আদালতের প্রবেশমুখে বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাকে চরথাপ্পর মারেন। তখন আনিসুল হকের মাথায় পুলিশের হেলমেট ছিল।

বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত তাকে নিয়ে আদালতের বারান্দা ত্যাগ করেন এবং দ্রুততার সাথে প্রিজন ভ্যানে তুলে দেন। গণমাধ্যমকর্মীদের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজেও তাকে চরথাপ্পর খেতে দেখা যায়।

প্রিজন ভ্যানে ওঠার পরও আদালত চত্বরে ‘ফাঁসি চাই, আনিসুল হকের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি সরকার হুমায়ূন কবির এবং আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, “এজলাস থেকে বের হওয়ার পর কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, তবে আমার চোখে চরথাপ্পর দেওয়ার বিষয়টি পড়েনি।”

এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ূন কবির দাবি করেন, "ফাঁসির দাবিতে আমরা মিছিল করেছি, তবে মারধর করেছে উৎসুক জনগণ। আইনজীবীরা মারধরে জড়িত নয়। মানুষের ক্ষোভ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।"

আনিসুল হক,চড়-থাপ্পড়,আদালত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত