ঢাকা শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সবজি-মাছ-মাংসের দাম উর্ধ্বমুখী, বাজেটে চাপ ক্রেতাদের

সবজি-মাছ-মাংসের দাম উর্ধ্বমুখী, বাজেটে চাপ ক্রেতাদের

শীত আসলেও ক্রেতাদের পক্ষে বাজারে সবজি ও মাছের কেনাকাটা সহজ নয়। প্রাকৃতিক প্রাচুর্য থাকলেও দাম যেন আগুনে ঝুলছে—মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের পকেট কাঁপাচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ফুলকপি, শিম, গাজরসহ মৌসুমি সবজির দাম এখনও কমেনি।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে সামান্য পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু খুচরা বাজারে তার প্রভাব নেই। ফলে ক্রেতারা অতিরিক্ত দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাজারে ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। বেগুন, গাজর, শসা, কাঁচা মরিচ এবং নতুন আলুর দাম ৮০ টাকা কেজি। ঝিঙা ও শিম ৬০–৭০ টাকা এবং বরবটি ও করলা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। প্রতি কেজি রুই মাছ (মাঝারি) ৩২০–৩৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০–২৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০–৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দাম নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের বাজেটের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

মুরগি ও মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। বয়লার মুরগি ১৭০–১৮০ টাকা, সোনালী ২৮০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০–৬৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শান্তিনগর বাজারে আসা এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, শীত আসলে সবজির দাম কমে যাওয়ার কথা, কিন্তু এবার দাম বেশি হওয়ায় পরিবারকে সামলানো কঠিন।

বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে জানা যায়, সরবরাহ ঘাটতি এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। মালিবাগ বাজারের এক বিক্রেতা জানান, পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম।

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, মৌসুমি সবজি উঠলেও সমন্বিত বাজার ব্যবস্থাপনা ও নির্বিঘ্ন সরবরাহ না থাকলে এই উচ্চমূল্যের চাপ ক্রেতাদের বহন করতে হবে।

বাজেটে চাপ ক্রেতাদের,দাম উর্ধ্বমুখী,সবজি-মাছ-মাংস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত