ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক ও পূর্ণ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ফোনালাপে কেবল ইউক্রেনের জ্বালানী অবকাঠামোয় সাময়িকভাবে হামলা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন তিনি।
সৌদি আরবে এক বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি দল ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার এক মাসের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির যে পরিকল্পনা করেছিলো, তাতে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেছেন, একটি শর্তেই পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হতে পারে। আর তা হলো– ইউক্রেনকে বিদেশি সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য দেয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
যদিও, ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা এর আগেও এই শর্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ শেষ হওয়ার পরপরই ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে সরকারি সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেছেন, জ্বালানি অবকাঠামো রক্ষা করবে, এমন সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন। তবে এ ব্যাপারে তারা আরও বিস্তারিত জানতে চায়।
পরে তিনি আরও অভিযোগ করেন যে ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইউক্রেনে একের পর এক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ফোনালাপকে "খুব ভালো ও ফলপ্রসূ" বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, "শান্তি চুক্তির অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"
তিনি তার পোস্টে বলেন- যে অবকাঠামো ও জ্বালানিতে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। এটিই প্রথমে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি, পরবর্তীতে এই ভয়াবহ যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে এগোবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের ৮০ শতাংশ জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার বোমাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে গেছে।