অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার প্রস্তাবকে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের চেষ্টার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে যেভাবে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা সমাজের মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য আবাসন ক্রয়কে আরও কঠিন করে তুলবে।
সিপিডির মতে, অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে ফ্ল্যাট বা প্লট কেনার সুযোগ রাখা হলে বৈধ উপার্জনের মানুষরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন। এর ফলে আবাসন খাতের মূল্য আরও বেড়ে যাবে এবং সমাজে বৈষম্য বাড়বে। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে নৈতিকভাবে কর পরিশোধকারী নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করা হবে এবং এটি ন্যায়সঙ্গত নয়।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই প্রস্তাব ‘জুলাই আন্দোলন’-এর চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। কারণ, সেই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। বাজেটও সেই লক্ষ্য সামনে রেখে প্রস্তুত হওয়ার কথা। অথচ কালো টাকা বৈধ করার প্রস্তাব সেই ভাবনার বিরোধিতা করছে।
সিপিডি মনে করে, সমাজে সমতা ও অর্থনৈতিক ন্যায়ের যে প্রত্যয় বাজেটের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়, কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এ ধরনের সুযোগ বন্ধ করা না হলে তা বৈষম্য সৃষ্টির হাতিয়ার হয়ে উঠবে এবং দেশের অর্থনৈতিক নীতির নৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে দেবে। এজন্য তারা এই প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।