অবশেষে ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে ভারত। স্থানীয় সরকারের চারটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বুধবার (৭ মে) ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ‘৯টি সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ ধ্বংসের দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পর যুদ্ধবিমানগুলো বিধ্বস্ত হয় বলে জানান তারা।
এর আগে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তানি পাল্টা হামলায় ভারতীয় যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর নিয়ে স্বভাবসুভ লুকোচুরি শুরু করেছে দেশিটির সংবাদমাধ্যমগুলো। প্রথমিকভাবে ভারতীয় জঙ্গিবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করলেও পরবর্তিতে সেসব খবর সরিইয়ে নিচ্ছে নিউজ সাইট গুলো।
এদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, একটি রাশিয়ার তৈরি সু-৩০ ও অন্যটি মিগ-২৯। সু-৩০ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সোভিয়েত আমলে তৈরি। তবে পাকিস্তানের এ দাবির প্রতিক্রিয়ায় নিশ্চিত করে কিছু বলেনি ভারত।
অন্যদিকে, সূত্রের বরাতে বুধবার দুপুরে এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ৭০ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন লিখেছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। এর পর থেকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই দুই পক্ষের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (৬ মে) দিনগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ভারত।
হামলার পর নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের পক্ষে দুই ধরনের দাবি উঠেছে। ভারত বলছে, ৭০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের ভাষ্য, হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।