অনলাইন সংস্করণ
১৫:৩৫, ০৮ মে, ২০২৫
পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে হামলার পর সীমান্তবর্তী রাজস্থান ও পাঞ্জাবে ব্যাপক সতর্কতা জারি করেছে ভারত। একইসাথে বাতিল করা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের সকল ছুটি। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জনসমাগমেও।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
মূলত সম্ভাব্য যেকোনও রকম পরিস্থিতি সামলাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য দুটির প্রশাসন।
এনডিটিভি জানায়, পাকিস্তানের সঙ্গে ১০৩৭ কিমি সীমান্ত রয়েছে রাজস্থানের এবং সেই সীমান্ত পুরোপুরি সিল করা হয়েছে। সীমান্তে মোতায়েন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-কে সন্দেহজনক কিছু দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। জোধপুর, কিশনগড় ও বিকানের বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে ৯ মে পর্যন্ত। আকাশপথে যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে। মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গঙ্গানগর থেকে কচ্ছের রণ পর্যন্ত সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানগুলো টহল দিচ্ছে।
বিকানের, শ্রীগঙ্গানগর, জয়সালমের ও বারমের জেলায় স্কুল বন্ধ এবং চলমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পুলিশ ও রেলওয়ের কর্মীদের ছুটি বাতিল হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।
এছাড়া সীমান্তের কাছে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমও সক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। জয়সালমের ও জোধপুরে রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউটের নির্দেশ জারি হয়েছে। মূলত ব্ল্যাকআউট অত্যাধুনিক উচ্চ-গতির যুদ্ধবিমানের জন্য সমস্যা তৈরি করে, যার ফলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করা পাইলটদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
একই রকম সতর্কতা জারি হয়েছে পাঞ্জাবেও। রাজ্যটিতে পুলিশ সদস্যদের সব ছুটি বাতিল এবং জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সমস্ত সরকারি কর্মসূচি বাতিল করেছেন সীমান্তে উত্তেজনার কারণে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৬ মে) পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরসহ দেশটির কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। মধ্যরাতে দেশটির মোট নয়টি জায়গায় চালানো এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। এমন অবস্থায় নিহতদের রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
