ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘অন্তহীন যুদ্ধ’ চালিয়ে যেতে চায় এবং সেই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সম্পৃক্ত করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। এটি ছিল পেজেশকিয়ানের প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর নিজস্ব রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা রয়েছে। এই হীন উদ্দেশ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তহীন যুদ্ধে টেনে নিতে চান, যা গোটা অঞ্চলে অস্থিরতা বাড়াবে।’
সোমবার ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে নিজেকে একজন ‘পরিমিতিবাদী’ মানুষ হিসেবে তুলে ধরেন।
সম্প্রতি ইরানের দুই শীর্ষ ধর্মীয় নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হত্যার ফতোয়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর জবাবে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমার জানা মতে, কারও বিরুদ্ধে, এমনকি ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও কোনো ফতোয়া জারি করা হয়নি। ফতোয়াগুলোতে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে নীতিগত অবস্থান প্রকাশিত হয়েছে; এটি ব্যক্তিগত হত্যার নির্দেশ নয়।’
পারমাণবিক ইস্যুতে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা কখনও পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করিনি, করছি না, করবও না। এটি আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছিল, কিন্তু ইসরায়েলের হামলা সবকিছু পণ্ড করে দিয়েছে। আমরা আলোচনায় ফিরতে ইচ্ছুক। কিন্তু কীভাবে নিশ্চিত হব যে আলোচনার মাঝপথে আবার হামলা হবে না?’
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, ইসরায়েল তাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন নেতানিয়াহুর যুদ্ধনীতির ফাঁদে পা না দেন।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের সূত্রমতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি আগামী সপ্তাহে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বৈঠকে বসতে পারেন। এটি হবে গত মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর দুই দেশের প্রথম প্রত্যক্ষ আলোচনা।