অনলাইন সংস্করণ
১০:৫৮, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী এতে অংশ নেয়। সে কারণে ভারতেও ১৬ ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তবে ঐতিহাসিক বাস্তবতায় এই দিনের মূল বিজয় ছিল বাংলাদেশের, কারণ এদিনই জাতি হিসেবে বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ওই পোস্টে তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনাকে ভারতের বিজয় দিবস হিসেবে ইঙ্গিত করেছেন। তবে সেখানে একবারও বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মোদি তার পোস্টে লিখেছেন, “বিজয় দিবসে, আমরা আমাদের সেই সাহসী সেনাদের স্মরণ করছি যাদের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল। তাদের দৃঢ় মনোবল এবং নিস্বার্থ সেবা আমাদের দেশকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের ইতিহাসে একটি গৌরবান্বিত মুহুর্ত খোদাই করেছে। এই দিনটি তাদের সাহসকে সম্মান জানায় এবং তাদের অসাধারণ মনোবলকে মনে করিয়ে দেয়। সেনাদের এই বীরত্ব ভারতের বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।”
এর আগে ভারতের সেনাবাহিনী বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি পোস্ট দেয়। সেখানে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথাও উল্লেখ করে।
দেশটির সেনাবাহিনীর পোস্টে বলা হয়, “বিজয় দিবস শুধুমাত্র কোনো একটি তারিখ নয়— এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহাসিক ও চূড়ান্ত বিজয়ের একটি প্রতীক।”
মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে উল্লেখ করে তারা আরও জানায়, “এটি ছিল সেই বিজয়, যেখানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। একসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে নিয়ে গেছে চূড়ান্ত স্বাধীনতার দিকে। এটি এমন বিজয় যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইতিহাসকে নতুন করে গড়ে তুলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রকে নতুন করে অঙ্কন করেছে এবং নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে।”
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোস্টে আরও বলা হয়, “পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পুরো জাতির ওপর যে নৃসংশতা, অত্যাচার এবং নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে, এই যুদ্ধ সেটির অবসান ঘটিয়েছে।”