ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঐক্যে ফাটল ধরলে ফ্যাসিস্টের দোসররা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে

ঐক্যে ফাটল ধরলে ফ্যাসিস্টের দোসররা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে

ফ্যাসিস্ট বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য থাকতে পারে জাতির বৃহত্তম স্বার্থে, গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে সব রাজনৈতিক দলকে ক্ষুদ্র ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থকে পরিত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই ঐক্যে যদি ফাটল ধরে তাহলে এর মধ্যে ফ্যাসিস্ট দোসররা বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

রোববার (৩১ আগস্ট) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ যেন কর্মক্ষেত্রে নিরপেক্ষ আচরণ করে সভায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ সংস্কার কমিশন, রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকলাপ, মাদক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্যটা ছিল, সেটা ধরে রাখতে হবে। এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য থাকতে পারে জাতির বৃহত্তম স্বার্থে, গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে সব রাজনৈতিক দলকে ক্ষুদ্র ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থকে পরিত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই ঐক্যে যদি ফাটল ধরে তাহলে এর মধ্যে ফ্যাসিস্ট দোসররা বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ, নিরাপদ ও সুষ্ঠু হবে তা নির্ভর করে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রদান ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে। এজন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জনগণের অবাধ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। সবার অংশগ্রহণ রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি সবার সহযোগিতায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন উপহার দিতে পারবো বলে আমরা আশা করি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যতটা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, আমরা ততটা প্রস্তুত। আমরা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পুলিশের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন করবো। আমরা আমাদের প্রস্তুতিটা নিচ্ছি। ঘটনাগুলো ঘটে যাচ্ছে। এগুলো আস্তে আস্তে যেন কমে যায়, এজন্য আপনাদের সবারই সাহায্য সহযোগিতা দরকার। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয় এতে সবারই সাহায্য সহযোগিতা দরকার।

নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু না হয় এজন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যে পার্টির কার্যকলাপ নেই তারা তো চাইবেই নির্বাচন ভঙ্গ করার জন্য। তারা তো অবশ্যই চাইবে। এদের একটা সংখ্যা তো রয়ে গেছে।‌ সেই সংখ্যাটাকে প্রতিহত করার দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দল ও আপনাদের-আমাদের সবার।

পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও নিরপেক্ষেতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ যদি অ্যাকটিভ হয়, তখন আবার বলে ওভার (বাড়াবাড়ি) করে ফেলেছে। ক্রিকেট খেলার মতো দাগ দেওয়া তো মানুষের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না যে, এর বাইরে হলে ওয়াইড। মানুষের ক্ষেত্রে এটা করে দেওয়া বড় মুশকিল। আমরা চেষ্টা করছি। গতকালকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, আগুন ধরানোর আগেই যদি পুলিশ অ্যাকশনে চলে যেতো তখন আপনারা বলতেন—শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে পুলিশ কেন বাধা দিলো! নিয়ম ছিল আগুনটা ধরানোর আগেই অ্যাকশনে যাওয়া। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে এক হাজার ৪০৬টা অবরোধ হয়েছে। এটা করেছে ১২৩টি সংগঠন। এগুলো রাস্তায় করলে জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,ঐক্য,ফ্যাসিস্টের দোসর,নৈরাজ্য,জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত