অনলাইন সংস্করণ
১৮:৫৭, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে জুলাই আন্দোলনের সময় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ নাহিদ ইসলাম সবশেষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।
তার বক্তব্যে উঠে আসে আন্দোলনের সময় সমন্বয়কদের গুম, ডিবি অফিসে নির্যাতন, ছাত্রজনতার ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো, আওয়ামী ও ছাত্রলীগের নির্যাতন, আন্দোলন দমনে গোয়েন্দা সংস্থার চাপসহ নানা তথ্য।
নাহিদ ইসলাম বলেন, তিনি এবং ভিকটিম পরিবাররা ভিকটিমের পক্ষ থেকে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতদের দায়ী করা হয়েছে এবং তাদের বিচার ও কঠোর শাস্তি প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য সমন্বয়কদের গুম করা হয়েছিল, তারপর গণস্বাস্থ্যে ভর্তি হওয়ার পর ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া, সেখানে নির্যাতন এবং আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল। ৪ ও ৫ আগস্টের ঘটনার বিবরণ আমি আদালতে জানিয়েছি।’
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি এই মামলার প্রেক্ষাপট প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আসামিদের ভূমিকা স্পষ্টভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, নাহিদের সাক্ষ্য এই মামলার প্রমাণ হিসেবে অকাট্য ভূমিকা রাখবে।
নাহিদের জবানবন্দির মধ্য দিয়েই মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানায়, প্রতিটি সাক্ষ্য মামলার বিচারে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে।