অনলাইন সংস্করণ
১৭:১৮, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা পর্যায়ে এখন থেকে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ পৃথকভাবে পরিচালিত হবে। এর ফলে মামলা পরিচালনার সময় বাঁচবে এবং উভয় আদালতেই মামলা নিষ্পত্তির গতি আগের তুলনায় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, এত দিন জেলা আদালতগুলোতে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজ—এই তিন স্তরের বিচারককে একইসঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলার বিচার করতে হতো। এই দ্বৈত দায়িত্বই মামলাজট ও বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল।
বর্তমানে দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলা প্রায় ১৬ লাখ এবং ফৌজদারি মামলা প্রায় ২৩ লাখ। ফৌজদারি মামলার সংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও বিচারকদের একই সঙ্গে উভয় ধরনের মামলা পরিচালনা করতে হওয়ায় নিষ্পত্তি দীর্ঘ সময় ধরে আসছিল।
এ সংকট নিরসনে পৃথকভাবে ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব আদালতে বিচারকরা কেবল ফৌজদারি মামলার বিচার করবেন। এর ফলে বিচারকদের দ্বৈত দায়িত্বের অবসান ঘটবে এবং বিচারিক কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি আসবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদ্যমান মামলাজট উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে এবং বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।