ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

প্রযুক্তি খাতের ১০টি মেগাট্রেন্ড নিয়ে হুয়াওয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ

প্রযুক্তি খাতের ১০টি মেগাট্রেন্ড নিয়ে হুয়াওয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ

হুয়াওয়ে সম্প্রতি ‘ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩৫ রিপোর্ট’ ও ‘গ্লোবাল ডিজিটালাইজেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ইনডেক্স ২০২৫ রিপোর্ট’ শীর্ষক দুইটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। হুয়াওয়ে সম্প্রতি ‘ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩৫ রিপোর্ট’ ও ‘গ্লোবাল ডিজিটালাইজেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ইনডেক্স ২০২৫ রিপোর্ট’ শীর্ষক দুইটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে আগামী ১০ বছরে সম্ভাব্য কিছু বড় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন অর্থাৎ মেগাট্রেন্ড উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, উৎপাদন শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন শিল্পে প্রযুক্তিগুলোর প্রভাব নিয়েও এতে আলোচনা করা হয়েছে। হুয়াওয়ের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অব দ্য বোর্ড ডেভিড ওয়াং বলেন, ‘সভ্যতার প্রতিটি অগ্রগতি এসেছে প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানের হাত ধরে। অনুসন্ধানের প্রবণতা মানবজাতির স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। এটি আমাদের জ্ঞান ও প্রযুক্তির সীমানা বিস্তৃত করতে অনুপ্রাণিত করে।

আর আজ সেই প্রেরণাই আমাদের আরও বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জেনারেটিভ এআই এমন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে, যা আমরা আগে কল্পনাও করতে পারিনি। তাই আমাদের অবশ্যই ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে এবং নতুন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণা গড়ে তুলতে হবে।’ গত দুই বছরে হুয়াওয়ের গবেষণা দল বিশ্বজুড়ে ২০০-এরও বেশি কর্মশালা আয়োজন করেছে এবং ১০০-এরও বেশি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, গ্রাহক ও অংশীদারের সঙ্গে গভীর পর্যালোচনা করেছে। এর ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে ’ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩৫ রিপোর্ট’। জাতিসংঘ ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতো বিশ্বস্ত উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি এই রিপোর্টে ১০টি প্রযুক্তির মেগাট্রেন্ড উল্লেখ করা হয়েছে, যা হুয়াওয়ের মতে আগামী দশকে বুদ্ধিবৃত্তিক রূপান্তরকে পরিচালিত করবে।

মেগাট্রেন্ড ১ : কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) এই রূপান্তরের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হবে। এর জন্য কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তাকে বাস্তব প্রয়োগের সাথে একীভূত করা প্রয়োজন। কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তার ফলে অভূতপূর্ব প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্ভব হবে।

মেগাট্রেন্ড ২ : লার্জ মডেলগুলো (বড় পরিসরের এ্আই মডেল) বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এআই এজেন্ট সাধারণ কাজের মাধ্যম থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সহযোগীতে পরিণত হবে এবং বিভিন্ন শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

মেগাট্রেন্ড ৩ : হিউম্যান-এআই প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট নতুন রূপ পাবে। এর ফলে মানুষ উচ্চ পর্যায়ের ডিজাইন এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার উপর বেশি মনোযোগ দিতে পারবে। অন্যদিকে, এআই একই ধরনের কোডিংয়ের কাজগুলি দক্ষতার সাথে পরিচালনা করবে।

মেগাট্রেন্ড ৪ : মানুষ ও কম্পিউটারের মধ্যকার যোগাযোগ পর্যায়ক্রমে গ্রাফিক্সভিত্তিক ইন্টারফেস থেকে সাধারণ ভাষা ও মাল্টিমোডাল (বহুমুখী) ইন্টারফেস ভিত্তিক হয়ে উঠবে। এর ফলে সম্পূর্ণ ইন্দ্রিয়গত অভিজ্ঞতা পাওয়া সম্ভব হবে। ইন্টারফেসগুলো ব্যবহারকারীর কণ্ঠ, অঙ্গভঙ্গিসহ নানা উপায়ে ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ করে দেবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত