ঢাকা বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আল-আকসায় ইসরাইলি তাণ্ডব

ডেকে আনবে আরেকটি ইন্তিফাদা

অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
ডেকে আনবে আরেকটি ইন্তিফাদা

১৫ এপ্রিল শুক্রবার জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নিরস্ত্র মুসল্লিদের ওপর আবার ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলা অবাক-বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করল বিশ্ববাসী। ইসরাইলি সেনারা আবালবৃদ্ধবনিতা মুসল্লিদের নির্দয়ভাবে প্রহার করে, রাবার বুলেট ও টিআর শেল নিক্ষেপ করে কমপক্ষে ১৫০ জনকে আহত এবং ৪০০ জনকে ধরে নিয়ে যায়। ইসলাম ধর্মের পবিত্র এই স্থাপনাটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার ফজরের নামাজের আগে ইসরাইলি পুলিশ জোর করে আল-আকসা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। সে সময় ফজর নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য হাজার হাজার মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। ইসরাইলি পুলিশের দাবি, সহিংসতার উদ্দেশ্যে মসজিদের ভেতর পাথর জড়ো করে রেখেছিল ফিলিস্তিনিরা। শুক্রবার জুমার নামাজে জড়ো হওয়া মুসল্লিদের একটি দলের সহিংসতার পরিকল্পনা ছিল। মসজিদের ভেতর থেকে পাথর সরাতে ভোরে পুলিশ প্রবেশ করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ইসরাইলি পুলিশ বিনা অজুহাতে মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে। তাছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে সহজেই অনুমান করা যায় যে, পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিরস্ত্র মুসল্লিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি হামলায় নিন্দা আর ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে মুসলিম বিশ্ব। ইসরাইলি হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে সৌদি আরব, মিশর, জর্দানের মতো দেশের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল বেশ লক্ষ্যণীয়। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্সি একে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে মন্তব্য করেছে। কড়া বিবৃতি দিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন-ওআইসি। ওআইসি বিবৃতিতে পবিত্র আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে বসতি স্থাপনকারী চরমপন্থি ইহুদি গ্রুপের কোরবানি দিতে চাওয়ার হুমকির বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করে দিয়েছে এবং দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সমর্থন ও সুরক্ষায় কয়েক ডজন চরমপন্থি বসতি স্থাপনকারী কর্তৃক পবিত্র আকসায় ইহুদি আচার-অনুষ্ঠান ‘তালমুদিক’ পালনেরও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনীর ন্যক্কারজনক হামলায় ফুঁসে উঠেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামি জিহাদ।

গত বছর রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরাইলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ও ইসলামি জিহাদ ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালায়। ১১ দিন ধরে সংঘাতে দু’পক্ষের বহু মানুষ হতাহত হয়। ওই যুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো প্রথমবারের মতো ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরে ৩ হাজারের অধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। ইসরাইলিদের শক্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে অনেক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের অনেক গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এই যুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য ইসরাইলের অনেক দুর্বলতা প্রকাশ পায়। ফলে ইহুদি রাষ্ট্রটির নিরাপত্তা নিয়ে খোদ ইসরাইলিদের মাঝে জন্ম দেয় শঙ্কা। ইসরাইলের বিরামহীন বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গাজা উপত্যকা। এ ধরনের হামলা ঠেকানোর প্রচেষ্টায় চলতি বছর রমজান শুরুর আগে আলোচনা জোরদার করেছিল ইসরাইল ও জর্ডান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সহিংসতা ঠেকানো গেল না। বলার অপেক্ষা রাখে না, পূর্ব জেরুজালেম ইসরাইল অধিকৃত হলেও আল-আকসা বা টেম্পল মাউন্ট এলাকাটি পরিচালনা করে একটি জর্ডনি-ফিলিস্তিনি ইসলামিক ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান।

১২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের শহর জেরুজালেম। ধর্মীয় দিক থেকে জেরুজালেম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি শহর। ইসলাম, ইহুদি এবং খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনার অনেকগুলোই এই শহরে অবস্থিত। পৃথিবীর অন্যতম পুরোনো এই শহরকে নিয়ে টানাপড়েনও হাজার বছরের। ধর্মীয় যুদ্ধে বারবার হাতবদল হয়েছে শহরটির। কিন্তু নিজেদের অধিকার ছাড়েনি কোনো পক্ষই। আল আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩৫ একর জমির ওপর নির্মিত। এই জায়গায় অবস্থিত ইহুদিদের পবিত্র ভূমিখ্যাত ‘টেম্পল মাউন্ট’ বা ‘ঈশ্বরের ঘর’; যা ‘কুব্বাত আস সাখরা’ নামে পরিচিত। টেম্পল মাউন্টকে ঘিরে থাকা ‘ওয়েস্টার্ন ওয়াল’ ইহুদিদের কাছে ‘পৃথিবীর ভিত্তিপ্রস্তর’ হিসেবে স্বীকৃত। এখানে নিয়মিত প্রার্থনায় অংশ নেয় লাখো ইহুদি।

ইহুদিরা বিশ্বাস করে, এখানেই নবী আব্রাহাম তার পুত্র ইসমাইলকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। এখানেই ছিল ইহুদিদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র মন্দির, যা ৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমান বাহিনী ধ্বংস করে দেয়। যিশু খ্রিষ্টের স্মৃতিবিজড়িত গির্জার কারণে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছেও পবিত্রতার দিক থেকে সমান গুরুত্বপূর্ণ জেরুজালেম। খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস, এখানেই ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল যিশুকে। আল আকসা মুসলমানদের প্রথম কেবলা এবং তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। শবেমেরাজের রাতে এখান থেকেই ঊর্ধ্বাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন শেষ নবী হজরত মুহম্মদ (সা.)। পবিত্র কোরআনে আল-আকসার কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকায় এর গুরুত্ব আরও মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হজরত ওমর (রা.) এর সময় ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে বিনা রক্তপাতে জেরুজালেম মুসলমানদের অধিকারে আসে। ৪৬১ বছর পর ১০৯৯ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা মসজিদটি দখল করে গির্জায় পরিণত করে এর একটি অংশকে। ৮৮ বছর পর ১১৮৭ সালে গাজি সালাহউদ্দিন আইয়ুবি খ্রিষ্টানদের হাত থেকে আল-আকসা উদ্ধার করে মুসলমানদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

তবে আজকের আধুনিক ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে বুঝতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে অন্তত একশত বছর আগে, যেখান থেকে এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সশস্ত্র সংঘাতের সূচনা। এই ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে আধুনিক রাজনীতির মিশেল ঘটে বিংশ শতকে এসে, যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সম্রাজ্যের পরাজয় ঘটে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জেরুজালেমের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নেমে আসে ঘোর অমানিশা। ছয়শত বছরের ওসমানী খেলাফাতের পতনের মধ্যদিয়ে ব্রিটেন ফিলিস্তিন, জেরুজালেম, জর্দানের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। ব্রিটিশরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে ইহুদিদের এনে জেরুজালেমে পুনর্বাসিত করে তাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করে। ১৯১৭ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস বেলফোর তাদের পরিকল্পনার কথা জানান ইহুদি আন্দোলনের নেতা ব্যারন রথসচাইল্ডকে।

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ইহুদিরা ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনে জায়গা কিনে কিনে বসতি স্থাপন করতে থাকে। মুসলমানরা বুঝতে পারে যে তারা ক্রমেই তাদের মাতৃভূমির জমি হারাচ্ছে। এত দিনে ইহুদিরা ব্রিটেনের মদদে জায়গা দখল করে স্বাধীন ফিলিস্তিনের মোট ভূখণ্ডের ১০ শতাংশের মালিক হয়ে যায়। অন্যায়ভাবে বসবাসকারী ইহুদির সংখ্যা হয়ে যায় গোটা ফিলিস্তিনের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। দশক দুয়েক পর শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে ব্রিটিশরা ফিলিস্তিন ছেড়ে যাওয়ার আগে জাতিসংঘের প্রস্তাবে সম্পূর্ণ ভূখণ্ডকে ভাগ করে ৫৬ শতাংশে ইহুদিদের জন্য এবং ৪৪ শতাংশে মুসলিমদের জন্য আলাদা দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয়। জেরুজালেমকে যেহেতু উভয় জনগোষ্ঠী তাদের রাজধানী দাবি করে তাই এই নগরীকে একটি ‘আন্তর্জাতিক শহর’ এর মর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব রাখা হয়। কিন্তু এই অসম প্রস্তাবে ইহুদিরা রাজি হলেও মুসলিমরা প্রতিবাদ শুরু করে।

এরপর ১৯৪৮ সালে কোনো রকম সমাধান ছাড়াই যখন ব্রিটিশরা ফিলিস্তিন ত্যাগ করেছিল, তখন ইসরাইল স্বাধীনতা ঘোষণা করে বসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্শ্ববর্তী আরব দেশ মিশর, সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক ইসরাইলে হামলা চালায়। শুরু হয় প্রথম আরব-ইসরাইল যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ইসরাইল ফিলিস্তিনের অধিকাংশ ভূমি, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি (৭৭ শতাংশ) দখল করে নেয়। আয়তনে ফিলিস্তিনিরা হয়ে পড়ে কোণঠাসা। তারপরও যেটুকু ভূমি ছিল, সেখানে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বদলে মিসর ও জর্ডান তা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে শাসন কায়েম করে জর্ডান এবং গাজা চলে যায় মিশরের নিয়ন্ত্রণে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি, গাজা এবং মিশরের সিনাই অঞ্চল দখল করে নেয়। ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) মধ্যে অসলো শান্তি চুক্তির ভিত্তিতে ১৯৯৬ সালে ইসরাইল পশ্চিম তীর ও গাজা ফিলিস্তিনিদের কাছে হস্তান্তর করে এবং সেখানে স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ দেয়। কিন্তু সেই স্বায়ত্তশাসন পুরোটাই লোক দেখানো।

ততদিনে এসব অঞ্চলে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের মাধ্যমে দলে ভারী হয়েছে তারা। চারদিকে দেয়াল তুলে সীমানা নির্ধারণ, চলাফেরায় নানা ধরনের অপমানজনক বিধিনিষেধ, বিদ্বেষ, বৈষম্য এই সবকিছু মিলিয়ে বছরের পর বছর ধরে এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে ফিলিস্তিনিরা। এরপরও হাল ছাড়েনি ফিলিস্তিনিরা। জায়নবাদী ইসরাইল আইন ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জেরুজালেমে মুসলিম বসতি উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি নির্মাণ করে চলছে বছরের পর বছর ধরে। মুসলমানরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তাদের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরাইলি বর্বর সেনা ও বসতি স্থাপনকারী সশস্ত্র ইহুদিরা। ফিলিস্তিনিরা কোনোদিনই পূর্ব জেরুজালেমের দখল মেনে নেয়নি। তারা সবসময় বলে আসছে, পূর্ব জেরুজালেম হবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী। ফিলিস্তিনিরা বিশ্বাস করে, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে কবর দিয়ে দেওয়া। সুতরাং জেরুজালেম তাদের না থাকলে, কোনো টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন কখনোই সম্ভব হবে না। যদিও গত দশকগুলোতে পূর্ব জেরুজালেমের বহু জায়গায় ইহুদি বসতি বানিয়েছে; কিন্তু তারপরও এখানকার সিংহভাগ বাসিন্দা ফিলিস্তিনি, যারা শত শত বছর ধরেই এই শহরে বসবাস করছেন।

প্রতি বছর রমজান মাস এলেই অগ্নিগর্ভ রূপ ধারণ করে জেরুজালেম। ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশে ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতিবছরের রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে ‘কুদস’ দিবস। ইরানের আয়াতুল্লাহ খোমিনী ১৯৭৯ সালে দিবসটির প্রবর্তন করেছিলেন। দিবসটি উদযাপনে ইসরাইলি বাধা থেকে অনেকবার সহিংসতার সৃষ্টি হয় আল-আকসা কমপ্লেক্সে। দখলদার ইসরাইলিদের হাতে রমজানের শেষ জুমা আগত মুসল্লিদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে অনেকবার। আল-আকসা এলাকাটিতে ইসরাইলি কর্মকাণ্ড প্রায় প্রতিবারই বিক্ষোভ-সহিংসতার জন্ম দিয়েছে। ২০০০ সালে আল-আকসায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনের এক বিতর্কিত সফরকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় ‘ইন্তিফাদা’ বা গণঅভ্যুত্থান, যাতে ৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এ জায়গাটি এতই স্পর্শকাতর যে, এখানে কোনো সহিংস ঘটনা শেষ পর্যন্ত আরও একটি ইন্তিফাদা ডেকে আনবে কি-না- এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেন না।

লেখক : শিক্ষক, কলামিস্ট ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত