জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প ও আর্ট, কবিতা ও সাহিত্য ইত্যাদির ক্ষেত্রে ইউরোপ ইসলামি সভ্যতা থেকে যা গ্রহণ করেছে, তা স্পষ্ট ও সুবিদিত। কারণ এগুলো সম্পূর্ণরূপে বস্তুগত প্রভাব, সূক্ষ্ম ও স্পষ্টভাবে এগুলোর পর্যবেক্ষণ ও যাচাই-বাছাই সম্ভব। অন্যদিকে সামাজিক ও মানবিক প্রভাবের (শিষ্টাচার ও আচরণ) পর্যবেক্ষণ ততটা স্পষ্টভাবে সম্ভব নয়। কালগত দৃশ্যপট যত বিস্তৃত হয়, সামাজিক বিকাশও তত স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সামাজিক কার্যাবলি ও ঘটনাগুলো স্বাভাবিকভাবেই সংস্কৃতি, দর্শন ও ধর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইসলাম ও পাশ্চাত্যের মধ্যে এগুলোই এখনও পর্যন্ত দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের ক্ষেত্র। তাই এই অনুচ্ছেদে আমরা বহু তুলনামূলক বিষয় উল্লেখ করা থেকে বিরত থেকেছি। আমরা বাস্তবিক অর্থেই দেখেছি যে, ইসলাম যেসব বিষয়ের স্বীকৃতি দিয়েছে, পাশ্চাত্য সভ্যতা এখনও তার অধিকাংশেরই নাগাল পায়নি। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, ধ্যান-ধারণা ও দর্শনের পার্থক্য থেকেই গেছে। আমরা এখানে এমন কিছু দিক উল্লেখ করব, যা পরিপূর্ণরূপে ইসলামি সভ্যতার দ্বারা প্রভাবিত।
ফরাসি লেখক ফ্রাঁসোয়া জোলিভেট কাস্তাও তার La Loi de l Histoire, ১৯৩৩ গ্রন্থে বলেছেন, ‘ইউরোপ ওই যুগে যে উপকারী বায়ুপ্রবাহ ভোগ করেছে, তার জন্য আরবীয় চিন্তার কাছে ঋণী। ইউরোপ চারটি শতাব্দী কাটিয়েছে যখন, সেখানে আরব সভ্যতা ছাড়া আর কোনো সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল না। ইউরোপের জ্ঞানী-বিজ্ঞানীরাও আরব সভ্যতার উড্ডীয়মান ঝান্ডা বহন করেছে।’
অত্যন্ত যৌক্তিক বিবেচনায় সমকালীন পাশ্চাত্য সভ্যতার যে কোনো দৃশ্যপটের উন্নতি ও বিকাশকে রোমান সভ্যতা থেকে আলাদা করে ওই মধ্যযুগের সঙ্গে অর্থাৎ ইসলামি সভ্যতাকালের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায়।
এই গ্রন্থের দ্বিতীয় পর্বে আমরা ইসলামি সভ্যতার এসব অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করেছি। অধিকার, যুদ্ধ, আচার-আচরণ, আখলাক-শিষ্টাচার, লেনদেন ইত্যাদি বিষয়ে ইসলামি সভ্যতার কী অবদান তার কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছি। এ অনুচ্ছেদে আমরা পাশ্চাত্য সভ্যতায় এসব অবদানের কী প্রভাব রয়েছে তা খতিয়ে দেখব।
৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে আলফোনসো দ্য গ্রেট তার পুত্র ও যুবরাজের জন্য একজন শিক্ষাগুরু নিয়োগ করতে চান। এ দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি কর্ডোভার দু’জন মুসলিমকে আহ্বান জানান। কারণ তার পুত্রকে শিষ্টাচার শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত কোনো খ্রিস্টান খুঁজে পাননি তিনি।
মুসলমানরা যখন আন্দালুস জয় করলেন, খ্রিস্টানদের একটি দল ইসলামি শাসনের ছায়াতলে বসবাস করতে চাইল না, তারা ফ্রান্সে চলে যাওয়াটাকেই ভালো মনে করল। এ প্রসঙ্গে টমাস আর্নল্ড যেসব খ্রিষ্টান ইসলামি রাজ্যে সন্তুষ্টচিত্তে বসবাস করেছে তারা মুসলমানদের থেকে কী আচরণ পেয়েছে, সেই সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। এর সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে যারা দেশ ছেড়ে ফ্রান্সে চলে গিয়েছিল তারা ওখানে কী আচরণের শিকার হয়েছিল, সেটাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের শাসনাধীন বসবাস করার জন্য ফরাসি দেশে চলে গিয়েছিল, তাদের অবস্থা বাস্তবিক বিচারে তাদের ধর্মীয় ভাইদের (যারা আন্দালুসে ইসলামি শাসনের ছায়াতলে থেকে গিয়েছিল তাদের) চেয়ে ভালো ছিল না। ৮১২ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রাঙ্কদের রাজা শার্লেমাইন স্পেন থেকে ফিরে আসেন। এ সময় যেসব দেশত্যাগী লোক তার সঙ্গে জড়ো হয়েছিল, তাদের সাম্রাজ্যের কর্মচারীদের হুমকি-ধমকি ও জুলুম-নির্যাতন থেকে সুরক্ষার জন্য তিনি নিজে হস্তক্ষেপ করেন। তিন বছর পর ফরাসি রাজা লুইস দ্য পাইআস দেশত্যাগীদের সপক্ষে তাদের অবস্থার উত্তরণের জন্য একটি ডিক্রি জারি করতে বাধ্য হন। তা সত্ত্বেও তারা অভিজাত শ্রেণির লোকদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ না করে থাকতে পারেনি; কারণ অভিজাত শ্রেণির লোকরা দেশত্যাগীরে নামে বরাদ্দ ভূমি দখল করে নিচ্ছিল। কিন্তু এসব দুর্বৃত্তকে দমন প্রচেষ্টা কিছু দিনের মধ্যে অকেজো হয়ে পড়ল এবং নতুন করে অভিযোগের পাহাড় তৈরি হলো। এসব সহায়-সম্বলহীন দুর্ভাগা দেশত্যাগীদের অবস্থা ভালো করার জন্য যেসব সরকারি ফরমান ও ডিক্রি জারি হয়েছিল তার কোনো হসিদই পাওয়া গেল না। পরবর্তী সময়ে ক্যাগোট সংখ্যালঘুরা অত্যন্ত নিকৃষ্ট আচরণের শিকার হয়েছিল। যেসব স্পেনিশ কলোনি ইসলামি শাসনব্যবস্থা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল এবং নিজেদের স্বগোত্রীয় খ্রিষ্টানদের করুণার ওপর ছুঁড়ে দিয়েছিল, তাদের কথাও পুনরায় উল্লেখ করব।’ (টমাস আর্নল্ড, The Preaching of Islam, পৃ. ১৫৯)।
মুসলমানদের সঙ্গে ওঠবস ও লেনদেন যে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের স্বভাব-চরিত্রকে নম্র-ভদ্র করে তুলেছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় আন্দালুসের এক ঐতিসাহিক ইজিডোরের ক্রিয়াকলাপ থেকেও। টমাল আর্নল্ড বর্ণনা করেছেন, ‘ইজিডোরে মুসলিম বিজয়ীদের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ পোষণ করতেন। অথচ তিনি আবদুল আযিয ইবনে মুসা ইবনে নুসাইর যে সম্রাট রডারিকের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন, সে ঘটনার বিবরণ পেশ করেছেন কোনো বিরূপ মন্তব্য ছাড়াই; এ ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি একটিও নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করেননি।’ আর্নল্ড আরও জানাচ্ছেন, ‘এসব বিষয় ছাড়াও বহু খ্রিষ্টান তাদের নাম রেখেছিল আরবি শব্দে। বিভিন্ন ধর্মীয় বিধি পালনে তারা মুসলিম প্রতিবেশীদের অনুসরণও করত। ফলে অসংখ্য খ্রিষ্টান খৎনা করিয়েছিল। খাদ্য ও পানীয়ের ক্ষেত্রেও তারা মুসলমানদের সংস্কার ও রীতিনীতি মেনে চলত।’
ক্রুসেড যুদ্ধকালে যেসব ক্রুসেডার সিরিয়া (শাম ভূমি) দখল করে নিয়েছিল, তারা ছিল পক্ষপাতিত্ব ও গোঁড়ামির উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। এমনকি উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট বিস্মিত বোধ করেছেন এবং বলেছেন, ‘ক্রুসেডে অংশগ্রহণের জন্য যারা এসেছিল তাদের ধর্ম (খ্রিস্টধর্ম) যে শান্তির ধর্ম এটা বিশ্বাস করা কঠিন ছিল।’
কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে মেলামেশার পর তাদের মন-মানসিকতা পাল্টে গিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে উইল ডুরান্ট বলেন, ‘যে ইউরোপীয়রা এসব দেশে (সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে, ক্রুসেডের সময়) তাদের আবাস তৈরি করে নিয়েছিল তারা ধীরে ধীরে প্রাচীয় বেশভূষা ও আদব-আখলাক গ্রহণ করে...। এসব (বিজিত) এলাকায় যেসব মুসলমান বসবাস করত, তাদের সঙ্গে ইউরোপীয়দের সম্পর্ক ও যোগাযোগ জোরাল হয়ে ওঠে। এতে দুটি জাতির মধ্যে যে রেষারেষি ও শত্রুতাভাব ছিল তা কমে যায়। মুসলিম ব্যবসায়ীরা পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে খ্রিষ্টীয় দেশগুলোতে প্রবেশ করতে শুরু করে এবং ওখানকার বাসিন্দাদের কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করে। অন্যদিকে খ্রিষ্টান রোগীরা খ্রিষ্টান চিকিৎসকদের চেয়ে মুসলিম ও ইহুদি চিকিৎসকদের প্রাধান্য দেয়। খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতারা মুসলমানদের মসজিদগুলোতে ইমামতি ও ইবাদত অনুমতি দেয়। খ্রিষ্টান অধ্যুষিত আন্তাকিয়ায় ও ত্রিপোলিতে অবস্থিত মাদ্রাসাগুলোতে মুসলমানরা তাদের সন্তানদের পাঠাতে ও কোরআন শেখাতে শুরু করে।’
এসব ব্যাপার খ্রিষ্টানদের মৌলিক স্বভাবজাত ছিল না। কারণ ক্রুসেডাররা স্পেনে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে কী নির্মম আচরণ করেছিল তা আমরা দেখেছি। ওই সময় থেকে পাঁচ শতাব্দী কেটে যাওয়ার পর স্পেনে এখন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কী আচরণ করা হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।
সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি বাইতুল মুকাদ্দাস স্বাধীন করার পর খ্রিষ্টানদের সঙ্গে যে মানবিক আচরণ করেছিলেন তা ছিল বিস্ময়কর। আশ্চর্যজনক হলেও সালাহউদ্দিন আইয়ুবির এমন আচরণে মূল্যায়নও রয়েছে, স্বীকৃতিও রয়েছে।
আমরা দেখি যে, ফরাসি মার্কসবাদী ইতিহাসবিদ ম্যাক্সিম রোডিনসন তার স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেছেন এভাবে, ‘সবচেয়ে বড় শত্রু সালাহউদ্দিন পশ্চিমাদের মধ্যে ব্যাপক বিস্ময়ের সৃষ্টি করলেন। তিনি মানবিকতা ও বীরত্বের দ্বারা যুদ্ধকে অলঙ্কৃত করলেন; অথচ তার শত্রুদের মধ্য থেকে তার সঙ্গে এমন আচরণ খুব কম লোকই করেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেন ইংল্যান্ডের সম্রাট রিচার্ড দ্য লায়নহার্ট।’
টমাস আর্নল্ড বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, সালাহউদ্দিন আইয়ুবির চারিত্রিক গুণাবলি ও তার বীরত্বপূর্ণ জীবন তার সমকালে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের মন ও মগজে জাদুকরী প্রভাব বিস্তার করেছিল। এমনকি একদল খ্রিষ্টান বীরপুরুষ সালাহউদ্দিন আইয়ুবির প্রতি এতটাই আকর্ষণ ও দুর্বলতা বোধ করেছিল যে, তারা খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করেছিল এবং স্বজাতিকে ত্যাগ করে মুসলমানদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল।’
আব্রাহাম লিঙ্কন ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে দাসশ্রেণির মুক্তির উদ্যোগ নেন। পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত প্রতিকূল এবং তিনি দাশশ্রেণির উপকারভোগী সম্প্রদায় থেকে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হন। এমনকি তিনি তার এ উদ্যোগ থেকে সরে আসার উপক্রম করেছিলেন। তবে তিনি এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আইন জারি করেন। যদিও পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, তিনি নিজেও জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমতায় বিশ্বাসী ছিলেন না।
সংগত কারণেই আমরা বলব, ইউরোপে এখনও আচার-আচরণে ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্ণবাদ (রেসিজম) ও বর্ণবাদমূলক বৈষম্য রয়ে গেছে। বিশেষ করে ফ্রান্সে ও জার্মানিতে...। গুস্তাভ লি বোন জানিয়েছেন, ‘আরবদের মধ্যে সাধারণ সমতার প্রেরণা সবসময়ই ছিল। তাদের রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোতেও তা প্রতিফলিত হয়েছে। ইউরোপে সমানাধিকার-নীতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বটে, তবে তা কাজে নয়, কথায়। এ মানবাধিকার-নীতি ইসলামি শরিয়ার স্বভাব-প্রকৃতিতে পরিপূর্ণভাবে বদ্ধমূল রয়েছে। যেসব সামাজিক শ্রেণির অস্তিত্ব পাশ্চাত্যে প্রাণঘাতী বিপ্লব-বিদ্রোহের সৃষ্টি করেছিল এবং এখনও করছে, সেসব শ্রেণির প্রতি মুসলমানদের কোনো অঙ্গীকার নেই।’
তালাকের প্রসঙ্গেও একই কথা প্রযোজ্য। ১৪০০ বছর আগে ইসলাম তালাকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। অন্যদিকে ইউরোপে তালাকের বৈধতা জ্ঞাপন করে নাগিরক আইন পাস হয়েছে গত শতাব্দীতে। ব্রিটেনে ১৯৬৯ সালে তালাক প্রসঙ্গে নাগরিক আইন জারি করা হয়।
নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য নিরসনে যে আন্তর্জাতিক ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা ইসলামি শরিয়ার দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত এবং এ ব্যাপারটি সবার কাছে অত্যন্ত স্পষ্ট। নারীর মালিকানা, উত্তরাধিকার, আইনগত সক্ষমতা ইত্যাদি অধিকার প্রসঙ্গে ইসলামি ফিকহের গ্রন্থাবলিতে যা কিছু রয়েছে তারই সারমর্ম ফুটে উঠেছে এ সনদের ধারাগুলোতে। এ ষোষণাপত্র গৃহীত হয় ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের ৭ নভেম্বর।
ইউরোপ আধুনিক যুগেও নারীর প্রতি চরম অবমাননা ও বৈষম্য প্রত্যক্ষ করেই উপর্যুক্ত ঘোষণাপত্র তৈরি করেছে। নারীর অবমাননার বিস্ময়কর সব ঘটনা রয়েছে। ১৭৯০ সালে গির্জা কর্তৃপক্ষ একজন নারীর ভরণপোষণের দায়িত্ব অতিরিক্ত বোঝা মনে করে, ফলে ওই নারীটিকে মাত্র দুই শিলিংয়ে বিক্রি করে দেয়। ঊনিশ শতকের শুরুতেও (১৮০৫ সালে) স্বামীর অধিকার ছিল স্ত্রীকে নির্ধারিত মূল্যে (৬ সেন্ট) বিক্রি করে দেওয়ার, অর্থাৎ স্ত্রী ছিল স্বামীর মালিকানাধীন বস্তু। ১৯৩১ সালে একজন ইংরেজ তার স্ত্রীকে বিক্রি করে দেয় এবং ১৮০৫ সালের পূর্ববর্তী আইনের আওতায় তাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীও সে পেয়ে যায়। অবশেষে আদালত তাকে ১৫ মাসের কারাদ- দেয়।
ইউরোপে নারী স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা-অধিকার লাভ করে ঊনিশ শতকের শেষের দিকে, ১৮৮২ সালে। ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে পাগল ও শিশুদের পাশাপাশি নারীদেরও অক্ষম ও অপরিণত মনে করা হতো।
সংক্ষিপ্ত অনুবাদ : আবদুস সাত্তার আইনী