প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অন্যতম একটি সমস্যা মানব পাচার। উন্নত জীবনমানের আশায়, বিয়ের প্রলোভনসহ বিভিন্ন কারণে মানুষ পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে। বিগত বছরে দেশের অনেক নারী ও শিশু ভারত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। এসব দেশে কাজ পাইয়ে দেয়ার নামে গ্রামের অতিসাধারণ বিভিন্ন বয়সি মানুষ সংগ্রহ করে দালাল চক্র। মানব পাচারকারী এ চক্র উন্নত চাকরি ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল নারী ও পুরুষদের পাচার করে বিভিন্ন দেশে। আবার অনেক সময় অবৈধ পথে অল্প টাকায় বিভিন্ন দেশে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মানব পাচারকারীরা জিম্মি করে দাবি করে মুক্তিপণ। মুক্তিপণের অর্থ না পেয়ে জিম্মি হত্যা করার দৃষ্টান্তও রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর মানব পাচার নিয়ে অসংখ্য মামলা হলেও বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকে অধিকাংশ মামলা। আবার কখনও মানব পাচারকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের সখ্যতার অভিযোগও ওঠে। আবার অনেক সময় পাচারকারী চক্রের সদস্যরা অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় মামলার তদন্ত সঠিকভাবে হয় না। তারা ভুক্তভোগীদের হুমকিধমকি দিয়ে আপস-মীমাংসা করে। ফলে আসামিরা শাস্তি পাওয়া থেকে রেহাই পেয়ে যায়। মানব পাচারের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতায় মানব পাচার বেড়েই চলেছে। সরকার ও প্রশাসনের উচিত মানব পাচারের বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। এ ক্ষেত্রে দলমত, ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি নির্বিশেষে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
নিউ ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা