প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
এক সময়ে আমরা জেনেছিলাম, ‘বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে’। তখন, অর্থাৎ আশি-নব্বইয়ের দশকে, এমনটি ভাবার যুক্তিসঙ্গত কারণও ছিল। আমরা দেখছিলাম, সিলেট ও অন্যান্য টিলা অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসের খনি পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনে যেতে যেতে গ্যাসখনির উঁচু টাওয়ারের মাথায় আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। এমন চিত্র, কিংবা ভাবচিত্র, আমাদের মাথায় গেঁথে ছিল। আমরা দগ্ধ গ্যাস টিলাও দেখেছি এবং তা নিয়ে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নিরন্তর প্রতিবেদনও দেখেছি। এই ভাবনা-গাঁথার পেছনে কাজ করতো গণমাধ্যমের প্রতিবেদন। জ্বালানিবিদ্যা নিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন, কিন্তু তারা আমাদের জন্য কদাচিৎ বই লিখেছেন। আমি জানি, ড. আ মু জহুরুল হক ‘মানুষের শক্তি’ এবং ‘শক্তি চাই’ কিংবা ড. মফিজ চৌধুরী ‘দুর্নীতি: বিপ্লব ও সমকালীন প্রসঙ্গ’ বই লিখেছিলেন আশির দশকে, যেখানে বাংলাদেশের জ্বালানি চিন্তার কিছু আলোচনা ছিল। জ্বালানি চিন্তায় দীক্ষিত করার তাগিদ সরকারের তেমন দেখা যায়নি, আজও দেখা যায় তেমন নয়। ভাবখানা এমন যত কম জানে, তত ভক্তি, তত ভালো। জ্ঞানের শূন্যতায় অজ্ঞানতা প্রস্ফুটিত হয় জ্বালানি-বিদ্যার জগতে বাংলাদেশে একথা সত্য।
জ্বালানি শুধু যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপার তাও নয়। এর রাজনীতিক মূল্য অপরিসীম। জ্বালানি-রাজনীতি দিয়ে সারা বিশ্ব পরিচালিত হয়। একথা এখন সবার জানা। মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের একটি সুলিখিত গ্রন্থ আছে, ‘গ্যাস বাংলাদেশ’, সেখানে তিনি ২০০৩ সালের তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে কোট করে লিখেছেন, ‘ওয়াশিংটন চাইছে ঢাকা গ্যাস রপ্তানি করুক যাতে এটি মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হতে পারে। এটা বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে’।
১৭ আগস্ট করা এই উক্তির মধ্য দিয়ে পরোক্ষে যে নির্দেশ প্রদানই করা হচ্ছে সেটা বুঝতে রকেট-বিজ্ঞানী হতে হয় না। ‘জিওপলিটিকস’ বলে যে জিনিসটা আমরা সচরাচর শুনে থাকি, তার একটা বড় অংশই হলো জ্বালানির বৈশ্বিক চাহিদা ও পরাশক্তিসমূহের লোভ ও নিয়ন্ত্রণে ইচ্ছা। আর রয়েছে বৈশ্বিক কর্পোরেট কৌশল। এসব কৌশল আবার বিজ্ঞান-প্রযুক্তি আর গবেষণার সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিঃসৃত হয়ে থাকে।
১৯৫৬ সালে মার্কিন ভূতত্ত্ববিদ হিউবার্ট (১৯০৩-১৯৮৯) একটি পর্যবেক্ষণে বলেন যে, সব রকমের জীবাশ্মণ্ডজ্বালানিরই উৎপাদনের একটি সর্বোচ্চ চূড়া থাকে, এরপর থেকে উৎপাদন কমতে থাকে। কারণ, স্বাভাবিক নিয়মেই সঞ্চয় কমতে থাকে। অনেক দেশেই তেল বা প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন সর্বোচ্চ বিন্দু থেকে কমে যাওয়া শুরু করেছে বলে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে জানা যায়।
এসবের কিছু না জেনেই বাংলার মানুষ এই ভেবে স্বস্তিতে ছিল যে বিধাতা তাদের খুব কিছু না দিলেও দিয়েছেন অবারিত মাঠ, উর্বর মাটি, নদী আর পলি, দুর্বার ফসল আর মাটি-ভরা গ্যাস। কিন্তু আমাদের তেমন কেউ জোর করে বলেওনি যে, প্রাকৃতিক সম্পদ সব সময়েই সীমিত এবং তার একটা শেষ থাকে।
১৯৫৬ সালে মার্কিন ভূতত্ত্ববিদ হিউবার্ট (১৯০৩-১৯৮৯) একটি পর্যবেক্ষণে বলেন যে, সব রকমের জীবাশ্মণ্ডজ্বালানিরই উৎপাদনের একটি সর্বোচ্চ চূড়া থাকে, এরপর থেকে উৎপাদন কমতে থাকে। কারণ, স্বাভাবিক নিয়মেই সঞ্চয় কমতে থাকে। অনেক দেশেই তেল বা প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন সর্বোচ্চ বিন্দু থেকে কমে যাওয়া শুরু করেছে বলে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে জানা যায়। তবে ‘হিউবার্টের পিক’ ব্যাপারটা কিন্তু প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যাপার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথাই ধরা যাক। সেখানে সত্তরের দশকে তেলের উৎপাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে (১০ মিলিয়ন ব্যারেল প্রতিদিন), এরপর ৩৫ বছর ধরে তা কমতে থাকে। কিন্তু বিশ শতকের শেষের দিকে উত্তোলন প্রযুক্তির (extraction technology) নয়া উদ্ভাবনে ‘টাইট অয়েল’ বা পরে ‘শেল অয়েল’ ইত্যাদি নানাবিধ উৎস থেকে পুনরায় তেলোৎপাদন শুরু হয় এবং তা ওই ১০ মিলিয়ন ব্যারেলের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ফলে যদি নতুন প্রযুক্তি আসে, তবে হিউবার্টের চূড়া বদলে যাবে। কেউ কেউ বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন হিউবার্টের চূড়া ছুঁয়ে গেছে। ফলে এখন তার উৎপাদন ক্রমশ কমতির দিকে থাকবে। তাছাড়া নতুন গ্যাসক্ষেত্রের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। দুই একটির খবর শোনা গেলেও, নতুন ক্ষেত্রগুলোর ক্ষমতা, বড় গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদনের ক্রমণ্ডঅধোগতির চেয়ে বেশি নয়।
সবচেয়ে দুর্ভাগা ব্যাপার হচ্ছে, প্রায় এক দশক আগে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্র-সীমানা নির্ধারিত হলেও এ অঞ্চলে অফশোর প্রাকৃতিক তেল বা গ্যাসের অনুসন্ধানের কোনো দৃষ্টান্ত আমরা দেখিনি। কয়েকবার প্রচেষ্টার পর সেসব উদ্যোগ থেমে গেছে। বিদেশি অনুসন্ধানকারীরা ছেড়ে চলে গেছেন, আর আমাদের দেশের সেই সক্ষমতা নেই। থাকার কথাও নয়, যে ধরনের ও লেভেলের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান থাকার কথা অফশোর চুক্তির ক্ষেত্রে, তা আমাদের নাই দক্ষতাণ্ডভিত্তি তৈরি করা হয়নি, অভিজ্ঞতা লাভের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের সংস্কৃতি ও উচ্চ-ক্ষমতার সিমুলেশন টুল নেই, সেইজন্যই নেই। গ্যাসের এই ঘাটতি মেটানোর জন্য সম্ভবত একটি যুক্তি ছিল এইরকম যেহেতু অফশোর অনুসন্ধান প্রচণ্ড ব্যয়বহুল, যেহেতু প্রোডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্ট (পিএসসি) নানা বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে করতে হয় এবং সেইজন্য তাদের রাজি করানো, আমলাতান্ত্রিক জট খোলা এবং বিদেশি দূতাবাসের ভূরাজনীতির তাস খেলা প্রচুর অধ্যবসায়ের ব্যাপার, সেহেতু ‘কম’ দামে স্পট-মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ক্রয় করে দেশের এনার্জি-মিক্সে তা মিশিয়ে দেওয়া ছিল একটি ‘স্মার্ট’ সিদ্ধান্ত। এসবের পেছনে অন্য কারণও ছিল, ‘কুইক মানি’ অর্থাৎ চট করে কিছু উপরি লাভ করা যায়।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, জ্বালানি-খাতে সর্বদাই এই ‘অ্যাডহক’ ভিত্তিতে কাজ করতে চাওয়ার মূল প্রেরণা হলো ব্যবসায়িক লাভ, লোভ এবং তদ্ভব স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়িক মৈত্রী (corrupt collusion) যাতে মুষ্টিমেয় ব্যক্তিরা লাভবান হয়। এইসব লাভ পরে পাচার হয়, নতুবা নতুন বন্দোবস্ত তৈরিতে তা বিনিয়োগ হয়। এজন্য দেখা যায়, এদেশে ধনী শ্রেণি কখনওই জ্বালানি-নীতি তৈরিতে আগ্রহী হন না, নীতি থাকলে ওই দুষ্টচক্র স্থাপন করা যায় না। এজন্য শুধু ‘প্ল্যান’ আর ‘রোডম্যাপ’ করা হয়, যা যখন-যেমন-প্রয়োজন বদলানো যায়, সংশোধন করা যায়।
যাই হোক, এলএনজি ক্রয়ে লাভ হচ্ছিল। আমরা দুরবস্থা টের পাচ্ছিলাম না, শুধু দাম বাড়ানো হচ্ছিল বা ‘প্রাইস অ্যাডজাস্টের’ নাম করে ভর্তুকি পুনর্নিধারিত হচ্ছিল, এর আড়ালে ওই দুষ্টচক্র কাজ করছিল। কিন্তু দুরভিসন্ধি ধরা পড়ে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে ইউক্রেন যুদ্ধ ‘সুনামি’ আকারে দেখা দেয়।
স্পট মার্কেটে ইউরোপীয় ক্রেতারা এবং দূর-প্রাচ্যের দৈত্যস্বরূপ জাপান, কোরিয়া ও চীন এলএনজি সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে দাম বেড়ে যায় এবং বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশগুলো খুবই চাপে পড়ে। এমতাবস্থায় যখন ঘন ঘন ‘প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট’ বা ‘মূল্য সংযোজনের’ দরকার পড়ছিল, তখনি বাঙালি মধ্যবিত্তের টনক নড়ে। আরে হচ্ছেটা কী!
২০২০ সাল পরবর্তী একাদিক্রমে ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় (করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা, ইরান-ইসরায়েল এবং ইন্দো-পাক যুদ্ধ, দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা, চীনের পরাশক্তিময় আত্মপ্রকাশ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য-যুদ্ধ ইত্যাদি) এলএনজির আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হয়ে আছে। আমাদের পক্ষ থেকে এই বাজারকে খুব ভালো মনিটরিং করা হয়, এমন নয়। আমাদের জন্য এই সরবরাহ শৃঙ্খলটি মূলত ব্যবসায়ী-জোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক কৌশলে যখন যে জোট ক্ষমতার নৈকট্যে থাকে, তখন সে জোট তার মতো করে ব্যবসা সাজায়। কিন্তু দরের উপর তাদের খুব নিয়ন্ত্রণ থাকে না, একথা সত্য, তবে পলিসিকে প্রভাবিত করে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় থাকার একটা প্রবণতা দেখা যায়। এর অবশ্য ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে।
প্রাকৃতিক গ্যাস কেন দরকারি? এর কারণ হলো, আধুনিক জলবায়ু পরিবর্তনের চিন্তার নিরিখে গ্যাস একটি ‘ক্লিন’ জ্বালানি, এর থেকে যে নিঃসরণ হয় তার পরিমাণ খুবই স্বল্প, এর তুলনায় তেল/ডিজেল বা কয়লা তো মারাত্মক দূষক। তাছাড়া গ্যাসের উত্তোলন, পরিশোধন, বণ্টন, পরিবহন, মিটারিং ইত্যাদি খুবই সহজলভ্য। বাসাবাড়ি ও অন্যত্র দিগিবদিক ব্যবহারে এবং অপচয়ের ফলে (যেমন, ম্যাচের কাঠির খরচ বাঁচাতে গ্যাসের চুলা বন্ধ না করে জ্বালিয়ে রাখা, কিংবা কাপড় শুকানোয় গ্যাস চুলার ব্যবহার) প্রাকৃতিক গ্যাসের সঞ্চয় এখন পড়তির দিকে।
‘গ্যাস-ইন্ডাস্ট্রি’ বলে একটা জিনিস আছে যার দ্বারা প্রতিটি ধাপের জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান, ঠিকাদারি সংস্থা, ইকুইপমেন্ট ইত্যাদি সবই আছে। ফলে এর প্রতিটি ধাপই সুনিয়ন্ত্রিত। তাছাড়া গ্যাস শুধু জ্বালানি হিসেবে নয়, আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় শিল্প-কারখানায় কাঁচামাল হিসেবেও গ্যাসের বড় চাহিদা আছে। যেমন কৃষি-উৎপাদন নির্ভর করে সার প্রয়োগের উপর এবং তা ঋতু-ভিত্তিকও বটে। সার উৎপাদনে গ্যাস প্রয়োজন হয়। সেইজন্য দেখা যাবে, যখনই কৃষি-নির্ভর ঋতুর আবির্ভাব হয়, তখনই বিদ্যুৎ-উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসকে সার-কারখানায় র্যাশনিং করা হয়। এসব কারণেই প্রাকৃতিক গ্যাস আমাদের খুবই প্রয়োজনীয়।
ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী আগামীতে গ্যাস আমাদের জ্বালানি-মিশ্রের একটি বড় উপাদান থাকবে। এই গ্যাস যদি উৎপাদন হয় তো ভালো, না হয় কিনে আনতে হবে। প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা ২০৫০ সাল নাগাদ বর্তমান চাহিদার দেড় থেকে তিন গুণের মধ্যে থাকবে। এর ২১ থেকে ৫০ শতাংশই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে। মূলত এই পরিকল্পনাটি এলএনজিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহারের পক্ষপাতী। এক হিসাবে এটি দেখিয়েছে যে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রায় ৩০ মিলিয়ন টন প্রতি বছর পরিমাণে অতিরিক্ত এলএনজির প্রয়োজন হবে, যার জন্য অতিরিক্ত এলএনজি টার্মিনাল তৈরি প্রয়োজন হবে। বর্তমানে দৈনিক গ্যাস চাহিদা ৩.৮ বিলিয়ন ঘনফুট, যার প্রায় ত্রিশ শতাংশই এলএনজি।
এখনকার জ্বালানি ঝোঁক অনুযায়ী এলএনজি-ভিত্তিক গ্যাসই আমাদের জ্বালানি চাহিদার একটা বড় অংশ সরবরাহ করবে। কিন্তু গতবছরের তুলনায় এই এলএনজি আমদানিতে সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধ্বস দেখা গেছে-আমদানি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। মূলত প্রাকৃতিক ঝড়ের কারণে দুটি ভাসমান টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের মেরামতে সময়ে চলে গেছে চার মাস।
উপরন্তু এলএনজি ক্রয়ে বাকি পড়েছে ৬৩৩ মিলিয়ন ডলার। স্পট মার্কেট থেকেও কেনা হচ্ছে ধীর গতিতে। তবে গার্হস্থ্য খাতে এলপিজি (পেট্রোলিয়াম গ্যাস যা মূলত প্রোপেন আর বিউটেন) ব্যবহারের বৃদ্ধি ঘটেছে এবং আমদানিও বেড়েছে (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ২৭ জুলাই ২০২৫)। কিন্তু দৈশিক জ্বালানি-চাহিদা এলপিজি দেয় না, দেয় এলএনজি, কারণ তা শিল্পখাতকেও সামাল দেয়।
লেখক : পরিচালক, জ্বালানি ও টেকসই গবেষণা ইনস্টিটিউট; অধ্যাপক, তড়িৎকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়