ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নবাব পরিবারের সন্তান চিত্রনায়ক নাইম। ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র (নাইমের বাবার দাদা তিনি) প্রপৌত্র নাইম। নাইমদের পরিবারই অর্থাৎ ঢাকার নবাব পরিবারেরই উদ্যোগে প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র ‘দ্য লাস্ট কিস’ নির্মিত হয়েছিল। অম্বুজ প্রসন্ন গুপ্ত নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৩১ সালে। এতে নবাব পরিবারের সদস্য খাজা আজমল অভিনয় করেছিলেন। নবাব পরিবারের কোনো সদস্য এবারই প্রথম অর্থাৎ নায়ক নাইম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩-এর জন্য গঠিত জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী নায়িকা সূচরিতা এর আগে ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিতত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করেছিলেন।
তিন বছরের বিরতির পর আবারো একই দায়িত্ব পেলেন তিনি। এবার তিনি ২০২৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কাররে ‘জুরি বোর্ড’র সদস্য হয়েছেন। কিছুদিন আগেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়। বিগত বেশ কয়েকদিন যাবত সূচরিতা, নাইম সিনেমা দেখার কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন সিনেমা দেখা শেষে তারা দু’জন তাদের বিচারকার্য যথাযথভাবে সম্পন্ন করছেন। এবারের জুরি বোর্ডের মোট সদস্য সংখা ১১। এ ছাড়াও আরো আছেন একজন সভাপতি ও একজন সদস্য সচিব। মোট ১৩ জন ২০২৩ সালের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অর্থাৎ ২৮টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জনদের চূড়ান্ত করে পুরস্কার প্রদানের জন্য সুপারিশ করবেন। ২০২৩ সালের সিনেমা দেখা এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য গঠিত জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে সূচরিতা বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমাকে আবারো এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে অর্থা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩-এর জন্য গঠিত জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করায়। এর আগেও আমি একবার জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করেছিলাম। এই নিয়ে আমি দ্বিতীয়বার কাজ করছি। এরই মধ্য বেশকিছু সিনেমা দেখা হয়েছে। সিনেমা দেখে দেখে আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করার চেষ্টা করছি। সঙ্গে নায়খ নাইম থাকায় সময়টাও বেশ ভালো কাটছে। নাইম খুউব ভালো মনের একজন মানুষ। তার বিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। শাবনাজকে নিয়ে তার দুই সন্তানকে নিয়ে সুখী পরিবার।
অনেক দোয়া নাইমের পরিবারের জন্য।’ নাইম বলেন, ‘রাষ্ট্র আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি যথাযথভাবেই পালন করার চেষ্টা করছি। যেহেতু জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে এবারই প্রথম বিচারকার্য করছি।
যে কারণে আমার কাছে কাজটা নতুন এবং চ্যালেঞ্জিংও বটে। যেহেতু আমি সিনেমাতেই শুধু অভিনয় করিনি, এর পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনা করেছি, গল্প নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে, কাহিনীকারের সঙ্গে বসেছি, সিনেমা সম্পাদনার সময় সম্পাদকের সঙ্গে বসেছি, দেশের প্রখ্যাত সিনেমাটোগ্রাফারদের সঙ্গে কাজ করেছি। তাই অভিনয়ের বাইরে সিনেমার নানান দিক সম্পর্কে আমি বেশ ভালো জানি বুঝি। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকঠাক ভাবেই পালন করার চেষ্টা করবো। কারণ আমি বিশ্বাস করি আমি যদি ভুল বিচার করি, পক্ষপাতিত্ব করি তবে আমাকে কোনো একদিন এর জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে। তাই আমি আমার কাজ শতভাগ সততার সাথেই করছি।