ময়মনসিংহের ১১টির মধ্যে ১০টি সংসদীয় আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থীর নামের তালিকা করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সেই তালিকা ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া তালিকার সত্যতা নিশ্চিত করে গতকাল রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক আকন্দ বলেন, স্থানীয় মতামত ও মাঠপর্যায়ের জরিপের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামী সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০টি আসনে চূড়ান্ত হলেও একটি আসন এখনো বাকি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রার্থীরা মাঠে গণসংযোগ করবেন, দলীয় লোকজনও কাজ করবেন। একদিকে আমাদের প্রস্তুতি চলবে, আবার যদি জোট হয়, তাহলে জাতীয় ঐক্যের জন্য যে কোনো আসন আমরা ছেড়ে দেব। জাতীয় স্বার্থে যে কোনো ত্যাগ করতে আমরা প্রস্তুত থাকব।’ সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীরা হলেন ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে মাহফুজুর রহমান, ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে মাহবুব মণ্ডল, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে মাওলানা বদরুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে মতিউর রহমান আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে আসাদুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে মঞ্জুরুল হক, ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে ইসমাইল হোসেন ও ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে সাইফ উল্লাহ পাঠান। ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ-১ আসনের মাহফুজুর রহমান জামায়াতের ময়মনসিংহ নগরের চরপাড়া সাংগঠনিক থানা শাখার রুকন ও জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি, ময়মনসিংহ-২ আসনের মাহবুব মণ্ডল সাবেক উপজেলা আমির, ময়মনসিংহ-৩ আসনের মাওলানা বদরুজ্জামান উপজেলা শাখার আমির, ময়মনসিংহ-৪ আসনের কামরুল হাসান মহানগর জামায়াতের আমির, ময়মনসিংহ-৫ আসনের মতিউর রহমান আকন্দ কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি, ময়মনসিংহ-৬ আসনের কামরুল হাসান জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির, ময়মনসিংহ-৭ আসনের আসাদুজ্জামান মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির, ময়মনসিংহ-৮ আসনের মঞ্জুরুল হক উপজেলা জামায়াতের আমির, ময়মনসিংহ-১০ আসনের ইসমাইল হোসেন উপজেলা শাখার আমির, ময়মনসিংহ-১১ আসনের সাইফ উল্লাহ পাঠান উপজেলা শাখার আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ জামায়াতের নেতৃত্ব দেখতে চাচ্ছে, যা আমাদের উৎসাহিত করছে। আমরা আগেও মাঠে ছিলাম, এখনো আছি। মাঠে যত বেশি দৌড়াচ্ছি, মানুষের আগ্রহ তত বাড়ছে। সমাজসেবার কাজ, অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। গ্রামের মানুষ যে ধরনের সমস্যায় জর্জরিত, সেই সমস্যা সমাধানে আমরা পাশে দাঁড়াচ্ছি। যার কারণে মানুষ খুব কাছে চলে আসছে। মানুষের স্বপ্ন জামায়াতে ইসলামী বাস্তবায়ন করতে পারবে, এমন ধারণা তৈরি হয়েছে মাঠপর্যায়ে।’