ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভাষার মাস

ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মতৎপরতায় মুখর সারা দেশ

ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মতৎপরতায় মুখর সারা দেশ

রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মতৎপরতায় তখন এ দিনটি মুখর ছিল চারিদিক। এ দিনে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের কার্যকরী কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কর্মসূচির প্রতি সক্রিয় সমর্থন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সারা পূর্ব বাংলায় সাধারণ ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে নতুন গতি পায়। নানা তথ্যভাণ্ডার খুঁজে বিশেষ করে যে কয়েকটি দিনের নানা তৎপরতার খবর পাওয়া যায়- তার মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি ছিল অন্যতম। ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক রচিত ‘একুশের দিনলিপি’ বইয়ে ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে-ফেব্রুয়ারির দিনগুলো চড়াই-উতরাই ভাঙার মতো করে এগিয়ে চলেছে। একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে ঢাকাসহ প্রদেশজুড়ে বিশেষ করে ছাত্র ও যুব সমাজে কর্মতৎপরতা ছিল ব্যাপক। এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রাবাস, হল বা হোস্টেল- যে নামেই ডাকি না কেন সেগুলো কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে। তৎপর হয়ে উঠে সংগঠনগুলোও। বইটিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে একই রকম তৎপরতা চলে মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুল বা জগন্নাথ কলেজে, তেমনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় তো বটেই। এদিন অন্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অথবা বলা যায় বিশেষ তাৎপর্যে যুবলীগের কার্যকরী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে ঢাকাসহ প্রদেশের সর্বত্র একুশের কর্মসূচি সফল করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। বোঝা যায় এ সিদ্ধান্তের নেপথ্য উদ্দেশ্য। যে যেমনই বলুন, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলা চলে একুশের সফল সমাপনে যুবলীগের অবদান বোধ হয় সর্বাধিক। সে সঙ্গে অনুরূপ অবদান কয়েকটি ছাত্রাবাসের। এদের কর্মীরা অক্লান্ত শ্রমে দিনের পর দিন মিছিলে মিছিলে লাগাতার স্লোগান তুলেছে-রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, রাজবন্দিদের মুক্তি চাই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত