ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দেড় মাসে ৭ মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করলেন হুথিরা

দেড় মাসে ৭ মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করলেন হুথিরা

ইয়েমেনের সশস্ত্র আন্দোলন হুথির যোদ্ধারা গত ছয় সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সাতটি মার্কিন রিপার ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর ফলে ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের ক্ষতি হয়েছে। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, গত সপ্তাহে তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয়, হুথিদের ইয়েমেনের ওপর দিয়ে উড়ন্ত চালকবিহীন বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করার ক্ষমতা উন্নত হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা এপিকে জানিয়েছেন, ড্রোনগুলো আক্রমণাত্মক অভিযান বা নজরদারি পরিচালনা করছিল।

আগুলো জলে-স্থলে- উভয় স্থানেই বিধ্বস্ত করা হয়েছে। গত ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন, সম্প্রসারিত অভিযানের নির্দেশ দেন। তখন থেকে আমেরিকা হুথিদের ওপর আক্রমণ বাড়িয়েছে, বলতে গেলে প্রতিদিনই হামলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হুথিদের হাতে উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন শনাক্তকরণ ও ভূপাতিত করার অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করছে। এছাড়া, ইরান থেকে হুথিদের এই প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছে কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ট্রাম্প হুথিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক করিডোর দিয়ে ‘জাহাজ চলাচলের ওপর আক্রমণ বন্ধ না করা পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য প্রাণঘাতী শক্তি’ ব্যবহারের হুমকি দেন। সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ডেভ ইস্টবার্ন স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৮০০টিরও বেশি হুথি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় একাধিক কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল স্থাপনা, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, উন্নত অস্ত্র তৈরির স্থাপনা, উন্নত অস্ত্র সংরক্ষণের স্থান ধ্বংস করা হয়েছে এবং শত শত হুথি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুথি নেতা নিহত হয়েছেন। আরেকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে এপিকে বলেছেন, ড্রোন ধ্বংসের ঘটনাগুলো এখনো তদন্তাধীন। মার্কিন হামলা বৃদ্ধি বিমানেরও ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে এই অঞ্চলে সৈন্য, সরঞ্জাম এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদন অনুসারে, অত্যাধুনিক ড্রোনগুলোর প্রতিটির দাম প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। এগুলো সাধারণত ৪০,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় ওড়ে। গত এক সপ্তাহেই ভূপাতিত হয়েছে তিনটি ড্রোন, জানায় মার্কিন প্রতিরক্ষা সূত্র। রিপার ড্রোন সাধারণত গোয়েন্দা নজরদারি এবং সুনির্দিষ্ট হামলার কাজে ব্যবহৃত হয় এসব ড্রোন ভূপাতিত করার মাধ্যমে হুথিদের ড্রোন শনাক্ত ও প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নয়ন বোঝা যাচ্ছে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

যা বলছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ : পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূপাতিত হওয়ার সময় এসব ড্রোন হামলা ও নজরদারির মিশনে নিয়োজিত ছিল। এদিকে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীগুলোর সুরক্ষা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।

হুথিদের দাবি : হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান ‘আমরা আশকেলন এবং উম্মে আল-রাশরাশ অঞ্চলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে সফল ড্রোন হামলা পরিচালনা করেছি।’ তিনি আরও দাবি করেন, ওই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ‘ট্রুম্যান’ ও ‘ভিনসন’-কে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত