সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই খুনি, গণতন্ত্রবিরোধী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দলের পক্ষে গণতান্ত্রিক বিশ্ব দাঁড়াবে না, এমনটি মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষায় অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলেও দলটি এতদিন তার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। এবার সেটিও বন্ধ করে দিল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল রোববার সাইবার স্পেসে আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগামধ্যম ফেসবুকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লিখেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম লিখেছেন, জাতিসংঘের রিপোর্টে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা এবং সহযোগী সংগঠনগুলো মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধে অংশগ্রহণ করেছিল। এই দল বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়ার ব্যাপক ধ্বংস করেছে। নেতা এবং সমর্থকরা ব্যাংক লুট করেছে এবং বিদেশে বিপুল পরিমাণ তহবিল পাচার করেছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বে এমন কেউ নেই যে, এমন নির্লজ্জ খুনি, গণতন্ত্রবিরোধী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দলের পক্ষে কথা বলবে। আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমরা কোনো প্রতিকূল আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করি না।
তিনি আরও লিখেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কী হবে? আমি বিশ্বাস করি না, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য বিশ্ব বিলাপ করবে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজনীয় ছিল। ‘আমরা দেখেছি মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং মূল জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য এমনকি পশ্চিমা গণতন্ত্রেও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে- কেবল তাদের কার্যক্রম নয়। জার্মানি এবং ইতালি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নাৎসি এবং ফ্যাসিস্ট দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিল। স্পেন ও বেলজিয়ামেও কিছু রাজনৈতিক দলকে অবসানমূলক কার্যকলাপের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।’
অন্যদিকে গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তার হাতে দেওয়া পত্রে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার’ দাবি জানিয়েছিলাম। সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালেও তার হাতে দেওয়া পত্রে আমরা ‘পতিত ফ্যাসীবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার’ দাবি জানিয়েছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বারবার উত্থাপন করেছি। উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপি। তিনি আরও বলেন, আমরা আনন্দিত যে, বিলম্বে হলেও গত রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী, ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি।
গত শনিবার দিনগত মধ্যরাতে মগবাজার চৌরাস্তায় এক পথসভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান মন্তব্য করেন, জুলাই বিপ্লবের হত্যাকারীদের শাস্তি জনগণ অবিলম্বে দেখতে চায়। আমরা জুলাইকে হারিয়ে যেতে দেব না। বরং জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করেই সামনের দিকে এগিয়ে যাব। ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের মাধ্যমে আমাদের প্রাণের দাবির আংশিক পূরণ হয়েছে। তবে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। জুলাই প্রোক্লেমেশন এখনও আসেনি। বিপ্লবের পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা এখনও পাইনি। তবে আমাদের ধৈর্যের সঙ্গে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা জুলাইকে কোনোভাবেই হারিয়ে যেতে দেব না।
পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে জনগণের যে সম্পদ লুটপাট করেছে, তা বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে দেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। নুরুল হক নূর বলেন, পতিত সরকারের সময়ে বিরোধী দলসমূহ একটি সমাবেশ করেছিল। এরপর থেকে প্রায় ৩০ হাজার বিরোধীদলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অথচ গত ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের মাত্র ৩২ জন নেতাকর্মীও গ্রেপ্তার হয়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হলে তা এক সময় দেশের জন্য বড় সংকট হয়ে দাঁড়াবে। আওয়ামী লীগ এখন আর শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি সীমান্তের ওপার থেকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শক্তি হিসেবে কাজ করছে। গত নয় মাসে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগাণ্ডার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে।
রোববার রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নজির আছে, যেসব ফ্যাসিবাদী দল গণহত্যার জন্য দায়ী থাকে, দল হিসেবে তাদের বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে এসে নিষিদ্ধ করা হয়। এটার উদাহরণ সারা পৃথিবীতে আছে। সুতরাং দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করবে ঘোষণা দেওয়ায় তাদের স্বাগত জানাই।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিএনপি শাহবাগে না যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা কেন শাহবাগে যাব। আমাদের দাবি তো বহু আগেই লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া হয়।
অনলাইনেও বন্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম : অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও আওয়ামী লীগ সব কার্যক্রম বন্ধের প্রক্রিয়া চলছে। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজসহ সাইবার স্পেসে দলটির কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। রোববার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। পরিপত্র জারি হলে এসব পেজ নিষিদ্ধ করতে বিটিআরসির মাধ্যমে মেটাসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে। বিটিআরসির মাধ্যমে চিঠি পাঠালে সেটি দ্রুত কার্যকর হবে বলে আশা করছি।’ ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে দলটির একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ রয়েছে। পেজটিতে বর্তমানে ফলোয়ার প্রায় চার মিলিয়ন (৪০ লাখ)। গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসার পরপরই পেজটিতে পোস্ট দিয়ে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতেও পেজে শেয়ার করা হয়। তাছাড়া নিয়মিত বিভিন্ন পোস্ট দিতে দেখা গেছে।
এসপি-ওসিদের নির্দেশনা : রোববার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন কিংবা পতিত সরকারের (আওয়ামী লীগের) দোসররা জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা কেউ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সক্ষমতা ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের রয়েছে। আমার অধীনে এসপি-ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড আপনার এলাকায় চলবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা নিষিদ্ধ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত- তাদের সবাইকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রাচীন, অন্যতম বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ গঠিত হয়। ভৌগোলিকভাবে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। কারণ রংপুর বিভাগ ছাড়া অন্য সব বিভাগের সঙ্গে ঢাকা বিভাগের সীমানা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন জেলাগুলো দ্বারা পরিবেষ্টিত। তিনি বলেন, ঢাকা রেঞ্জের অধীনে সব থানা-ফাঁড়ি-সার্কেল এসপি অফিস হবে জনগণের। জনগণের সেবা করার জন্যই আমরা দায়িত্ব পালন করি। আমার রেঞ্জের অধীন সব থানা হবে জনগণের। যে কোনো বিপদে ফার্স্ট রেসপন্ডার হিসেবে থানাকে জনগণের সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যতদিন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করব- ন্যায়নীতি, পেশাদারত্ব ও সততার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, যারা ভুক্তভোগী এবং অসহায়, তাদের কথা আমি সরাসরি শুনতে চাই। তাদের কিরকম আইনগত সহায়তা দেওয়া যায়, সেটি নিজে দায়িত্ব নিয়ে দেখব। থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা রেঞ্জের সব থানা হবে ভুক্তভোগীদের প্রথম ভরসাস্থল।
ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার : বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন। ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রতিদিনই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ চব্বিশের গণহত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করছে।
তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে এবং আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় রাজধানীতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।