কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীর পৃথক দুইটি স্থানে একই সময় গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এতে সাবরাংস্থ নাফনদীতে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সঙ্গে লেদাস্থ নাফনদী থেকে ধরে নিয়ে গেছে তিন বাংলাদেশিকে। গতকাল সোমবার দুপুরে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নাফ নদূ এবং লেদা সংলগ্ন নাফনদীতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা। সাবরাং সীমান্তে নাফনদীতে গুলিতে আহতরা হলেন, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা হেদায়েত উল্লাহ (১৭) ও মো: হোসেন (১৬)।
লেদা সংলগ্ন নাফনদী ধরে নিয়ে যাওয়া হলেন, সিদ্দিক হোসেন (২৭), রবিউল আলম (২৭) ও মাহমুদ হোসেন (৩০)। তারা তিনজনই টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদার লামারপাড়া বাসিন্দা। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘নাফনদীতে মাছ শিকারে যাওয়া দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দুপুরে নাফনদীর বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে গেলে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের উদ্দেশ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এ সময় হেদায়েত উল্লাহ (১৭) ও মো: হোসেন (১৬) ডান হাঁটুতে এবং বাম পায়ে গুলি এসে লাগে। আহতরা কক্সবাজারের সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রাত ৮টা পর্যন্ত এমন কোনো আহতরা আসেননি।
অপরদিকে সোমবার দুপুরে লেদাসংলগ্ন নাফনদী থেকে তিনজনকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, তিনজনকে ধরে নিয়ে গেছে তারা জেলে না। তবে কেন নাফনদী নেমেছেন নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে স্থানীয়রা জানিয়ে নাফনদীতে তিনজন নৌকা নিয়ে নেমেছিল। আরাকান আর্মি তাদের দেখতে পেয়ে গুলি চালায়। পরে তাদের ধাওয়া করে আটক করে নিয়ে যায়। বিষয়টি প্রশাসনকে অবিহিত করেছেন তিনি। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘তিনজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও শুনেছি। বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, লেদার ঘটনাটি শুনেছি। তবে তারা কি জেলে নাকি মাদককারবারি পরিষ্কার না। কারণ ওই এলাকা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাদকের বড় বড় চালান জব্দের ঘটনা ঘটেছে। তারা কি মাদক আনতে মিয়ানমারে গিয়েছিল, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই তিনজনকে ফেরত আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে গুলিবিদ্ধ দুইজনের বিষয়ে বিজিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।