ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র

ফ্যাসিস্ট সুবিধাভোগীরা জুলাই চায় না : তুহিন মালিক

ফ্যাসিস্ট সুবিধাভোগীরা জুলাই চায় না : তুহিন মালিক

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ছাত্র-নেতাদের অন্যতম দাবি ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ। কিন্তু গত ৯ মাসেও ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে পারেনি বর্তমান ইউনূস সরকার। মাঝে বেশ কয়েক দফা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের সময় নির্ধারিত হলেও বারবার পিছিয়ে গেছে। এবার জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হওয়ার পেছনে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. তুহিন মালিক।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হওয়া নিয়ে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে তুহিন মালিক লেখেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র হচ্ছে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তনের বন্দোবস্ত। সে কারণেই রাজনৈতিক দল, সিভিল-মিলিটারি আমলাতন্ত্র, সুবিধাভোগী সিভিল সোসাইটির কেউ চায় না বিদ্যমান এই কাঠামোর পরিবর্তন হোক। তাই অতীতের ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সুবিধাভোগীরা চাচ্ছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না হোক। বর্তমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সুবিধাভোগীরাও চাচ্ছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না হোক। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সুবিধাপ্রাপ্তির আশাবাদীরা চাচ্ছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না হোক।

তা না হলে গত ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদী সাংবিধানিক কাঠামোর ধারাবাহিকতার নামে সরকার গঠিত হয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র জারি করা হলো না কেন? এরপর প্রায় পাঁচ মাস পর গত ৩১ ডিসেম্বর ছাত্ররা শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চাইলেও ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়ার পরও ঘোষণাপত্র জারি করা হলো না কেন? ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়ার পরও ঘোষণাপত্র জারি করা হলো না কেন?

সর্বশেষ গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ মে রাতে সরকার আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে। এর পর থেকেই চারদিক অশান্ত। কেন নয় মাসেও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা যায়নি? কারণ, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সুবিধাভোগীরা কখনোই চায় না বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পরিবর্তন হোক। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো, ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায়।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত