যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্যবাহী শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন শুল্ক স্টেশন দিয়ে ৬টি পণ্য রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। এ ছাড়া নদী ও আকাশ পথে পণ্য রপ্তানিতে সময় ও খরচ বাড়বে কয়েকগুণ। সূত্র বলছে, গতকাল রোববার থেকে এসব পণ্য রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ভারতে সুতা গার্মেন্টস পণ্য, ফ্রুট ফ্লেভার ও কার্বোনেটেড ড্রিংক তৈরিকৃত খাদ্য সামগ্রী এবং প্লাস্টিক পিভিসি বা কাঠের ফার্নিচারসহ ৬টি পণ্যের রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক মতিযার রহমান জানিয়েছেন, গত শনিবার ভারতের দিল্লির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আইটিসি অ্যাক্ট ২০২২ আলোকে এফটিপি ফরেন ট্রেড, সুতা ফ্রজেন, ফুডসহ ৬টি পণ্য স্থলপথে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বেনাপোল দিয়ে যাবে না গার্মেন্টস পণ্যের চালান। তবে সমুদ্র ও আকাশ পথে যাবে এসব পণ্য। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ব্যবাসায়ীরা। তবে আগের এলসির পণ্য আমদানিতে সুযোগ চান ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞা ফলে এসব পণ্য রপ্তানিতে কয়েকগুণ খরচ বাড়বে। তবে পূর্বের এলসির পণ্য বেনাপোল দিয়ে রপ্তানিতে ভারতীয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে আমদানি-রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বেনাপোল গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে দিনের যেত। ভারতে এখন নদী পথে যেতে সময় লাগবে ১২ থেকে ১৫ তিন দিন। ফলে বাড়বে সময় ও খরচ। এতে ডেমারেজ হবে তাদের।