দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ২০১০ সালের ২০ মে যখন প্রকাশিত হয়, তখন থেকেই দৈনিকটির প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়নের মূলধারায় আলোকিত বাংলাদেশ’। এই বার্তা সামনে রেখে ১৫ বছর ধরে বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ অবধি এগিয়ে চলেছে দৈনিকটি। মানুষের ভালোবাসায় স্বল্প সময়েই আলোকিত বাংলাদেশ পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ১৫ বছর অতিক্রম করে আজ ১৬ বছরে পদার্পণ করেছে। এখনও টিকে আছে সমহিমায়। দীর্ঘ এ সময়ে বিশ্বে সন্ত্রাস, অবিচার ও সহিংসতার বিস্তারিত তথ্য নিয়মিত তুলে ধরছে দৈনিকটি। যখন দুর্বলের প্রতি আক্রমণ ও পরাশক্তিগুলো হিংস্র নখরে ক্ষতবিক্ষত করে চলেছে পুরো বিশ্ব, তখন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শক্তির পরাজয় ঘটেছে, মানুষ নতুনতর দীপ্তিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। সেখানে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দলনিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে আলোকিত বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রের শাসক থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন ঘাত-প্রতিঘাত আছে, ঠিক তেমনি ২০১০ সালে দৈনিকটি যাত্রা শুরুর পর মাঝপথে এসে কিছুটা হোঁচট খায়। সেই সময়ে পত্রিকায় সম্পাদক, কর্মরত সাংবাদিক এবং অফিস স্টাফদের মধ্যে দেখা দেয় এক ধরনের হতাশা। পত্রিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিল শঙ্কা। কী হবে, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার? কোন পথে এগোবে, এমন হতাশার মধ্যেই পরিবর্তনের আভাস, আবার পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে আলোকিত বাংলাদেশ। ফুটে ওঠে আশার আলোর ঝলকানি।
আলোকিত বাংলাদেশের চড়াই-উতরাইয়ের স্মৃতি মনে করে; প্রেমেন্দ্র মিত্রের সেই কবিতার মতো বলতে মন চায়- ‘সব কথা হেরে গেলে তাই এক দীর্ঘশ্বাস বয়, বুঝি ভুলে কেঁপে ওঠে একবার নির্লিপ্ত সময়, তারপর জীবনের ফাটলে-ফাটলে কুয়াশা জড়ায়, কুয়াশার মতো কথা হৃদয়ের দিগন্তে ছড়ায়।’ সেই আলোর দিগন্তের মতোই দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা আজও জনগণের সামনে তুলে ধরে আসছে আলোকিত বাংলাদেশ। কারণ, পত্রিকাটির উদ্ভব ঘটে গণমানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং পত্রিকার আদর্শই হলো মানুষের পক্ষে কথা বলা, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলা, মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পক্ষে কথা বলা, শিক্ষা-সংস্কৃতি-ইতিহাস-ঐতিহ্যের পক্ষে কথা বলা। আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার উদ্ভব ঘটেছিল গণমানুষের এই কণ্ঠস্বর হিসেবে। গণমুখী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হিসেবে। আজ তাই গর্বের সঙ্গে বলতে হয়, কেবল নিজের ক্ষেত্রেই নয়, সময়ের পথপরিক্রমায় আলোকিত বাংলাদেশ আজ আত্মবিকাশের মাধ্যম হিসেবে উপনীত হয়েছে। তাই তো বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোকিত বাংলাদেশ তার আদর্শ থেকে একচুলও বিচ্যুত হয়নি।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রতিবেদক, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ