সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া সশস্ত্র বাহিনীর লোগো ব্যবহৃত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে ‘স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা’ আখ্যা দিয়ে সতর্ক করেছে সেনাসদর। বৃহস্পতিবার দিনভর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনের পর সন্ধ্যায় বিষয়টি ‘ভাবনায়’ থাকার কথা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বরাতে জানা যায়। এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সৈনিক ও জুনিয়র অফিসারবৃন্দের বরাতে ছড়িয়ে পড়া একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে ‘গুজব’ আখ্যা দিয়ে সচেতন থাকার কথা বলেছে সেনাসদর।
শুক্রবার সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে বলা হয়, ‘সম্প্রতি, একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর লোগো ব্যবহার করে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা চলছে।’ সত্যতা যাচাই করে সচেতন থাকার আহ্বন জানিয়ে ওই পোস্টে বলা হয়, ‘গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না।’
রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার মধ্যে সেনানিবাসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন বলে খবরে এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের গুঞ্জনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যান নাহিদ; যিনি এনসিপির দায়িত্ব নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। ওই বৈঠকের পর নাহিদকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন বলে এনসিপি আহ্বায়ককে জানিয়েছেন। এতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা কাজ করতে পারবেন না-এমন শঙ্কা তিনি নাহিদ ইসলামের কাছে প্রকাশ করেছেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক থেকে পরে উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়া নাহিদ পদত্যাগের মত সিদ্ধান্ত না নিতে ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানান।