শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীর (৬১) আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া আবু রাসেল ওরফে মোল্লা মাসুদসহ তিনজনের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত এ আদেশ দেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অন্য আসামিরা হলেন আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩), এমএএস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)। এদিন তাদের আদালতে হাজির করে হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ১০ রিমান্ড আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের উপ-পরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আসামি এসএম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করে এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে। পরে হাতিরঝিল থানার নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকাল ৩টার দিকে এমএএস শরীফ ও মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো। সুব্রত বাইন সে সময় খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে। আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজা পেয়ে সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।