ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সচিবালয়ের কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি

সচিবালয়ের কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। কর্মবিরতি শেষে আগামী রোববার ও সোমবার সচিবালয়ে জমায়েত হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারী কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা আশা করছেন, প্রধান উপদেষ্টা জাপান সফর শেষে আগামীকাল দেশে ফেরার পর তারা তার কাছ থেকে একটা ‘আশাব্যঞ্জক’ খবর পাবেন।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এরপর থেকে এই অধ্যাদেশটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ আখ্যায়িত করে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। এ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। টানা চার দিন বিক্ষোভের পর সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করায় কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনেন তারা। বুধবার কর্মসূচি এক দিনের জন্য স্থগিত করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন কর্মচারীরা। কর্মবিরতিতে অংশ নিয়ে অনেক কর্মচারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে জমায়েত হন। সেখানে তারা এই আইনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন। অন্যদিকে, অর্থ বিভাগসহ আরও একাধিক বিভাগের কর্মচারীরা গতকাল কর্মবিরতি চলাকালে নিচে নেমে আসেন বলে জানান আন্দোলনকারী নেতারা।

কর্মবিরতি শেষে সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সাংবাদিকদের কাছে নতুন কর্মসূচিসহ পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানান ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর ও মুহা. নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম।

নতুন কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগামী রোববার উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পরদিন সোমবার দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলমের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। সচিবালয়ের ভেতরে বাদামতলায় জমায়েত হয়ে তারপর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে অধিদপ্তর, পরিদপ্তরের কর্মচারী তাদের সংস্থা প্রধানের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আলোচনা যাই হোক, একটা সময়সীমা থাকতে হবে। আমরা আজীবন অপেক্ষায় থাকব না। ঈদের আগে আমাদের হাতে সময় আছে চার দিন। প্রধান উপদেষ্টার শনিবার দেশে আসার কথা শুনেছি। সে ক্ষেত্রে রোববার একটি আশাব্যঞ্জক খবর পাওয়ার কথা।’ প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সচিবরা তার সঙ্গে আলোচনা করে একটি ‘ভালো ফলাফল’ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আশা করি, ঈদের আগেই এটি ফয়সালা করে আমরা ঈদ করতে যাব।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত