বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকায় বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে বাজারে ক্রেতা কমেছে। এতে বাজারে সবজির দাম কমেছে। তবে, অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীজুড়ে।
বাজারে পর্যাপ্ত সবজি সরবরাহে হুট করে দাম কমেছে। যদিও অন্য সময় এমন পরিস্থিতিতে সবজি, কাঁচা মরিচ ও ডিমের মতো পণ্যগুলোর দাম বাড়তে দেখা যেত। গত সপ্তাহ থেকেই বাজারে সবজি ও মুরগির দাম বেশ কম। অন্যান্য মুদি পণ্যগুলোর দামও স্থিতিশীল। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, শনিরআখড়া, রামপুরা, হাজীপাড়া বউবাজার, খিলগাঁও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিটি বাজারে ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। আবার বাজারে অনেক দোকান বন্ধ দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানান, রাতে বৃষ্টি না থাকায় পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ ছিল পর্যাপ্ত। যে কারণে পণ্য আনা নেওয়াতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি। তবে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সবজি আসছে অনেক। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় দামে খুব একটা প্রভাব পড়ছে না। এদিকে সবজি বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে সারাদিন বেচা-বিক্রি হয়নি। শুক্রবার সকাল থেকে একই অবস্থা। পুরোনো সবজি রয়ে গেছে। এর মধ্যে পাইকারী বাজার থেকে খুচরা বিক্রির জন্য কিছু সবজি এনেছেন দোকানে। দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে।
দেখা গেছে, বাজারে বেশিভাগর সবজি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙা ও ঝিঙা আছে এই তালিকায়। এছাড়া কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৭০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিটি আটি লালশাক ১৫ টাকা ও প্রতিটি আটি ডাটা ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। এসব সবজি গত সপ্তাহে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে। এদিকে, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নেমেছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। কিছু বাজারে দাম ১৮০ টাকা হাঁকলেও দরদাম করলে ওই দামে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে কমে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। মুরগি বিক্রেতা শাজাহান সরকার বলেন, বাজারে সস্তা দামে মুরগি দুই সপ্তাহ ধরে বিক্রি হচ্ছে। এখন মুরগি বিক্রি করে খামারিদের লোকসান পড়েছে।
