ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রাজধানীতে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট

রাজধানীতে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর শাহজাহানপুরে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। খিলগাঁও, বাসাবো, শান্তিনগর, শহীদবাগ ও শান্তিবাগসহ আশপাশের এলাকার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গায় এ হাট বসানো হয়েছে। ঈদের ৭ দিন বাকি থাকলেও বিক্রি তেমন জমে ওঠেনি।

হাটগুলোতে সরেজমিনে দেখা গেছে প্রথম দিন এসব হাটে ক্রেতারা কোরবানির পশুটি দেখতে এসেছেন। কোরবানির পশু নিয়ে নওগাঁ থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা হাটে এসেছেন মনতাজ উদ্দিন। গতকাল সকালে ২২টি গরু নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। তবে, দিন পেরিয়ে গেলেও তার একটি গরুও বিক্রি হয়নি । এই ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের এখনো সাত দিন বাকি। হাটগুলোতে কোরবানির পশু বেচাবিক্রি এখনো ততটা জমে ওঠেনি। কিছু ক্রেতা এলেও তারা পশু কিনছেন না। শুধু দেখছেন আর দাম যাচাই-বাছাই করছেন। হাটে এখন ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর ভিড়ই বেশি।

বছিলা হাট ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা গরু-ছাগল উঠেছে হাটে। এখানে সবচেয়ে বেশি উঠেছে নওগাঁ জেলার গরু। তবে দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, নাটোর জেলা থেকেও গরু এসেছে। হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি তেমন না থাকলেও দর্শনার্থীতে ভরা। অনেকেই ছুটির দিনে গরুর হাট দেখতে এসেছেন। মোহাম্মদপুরের বছিলার হাউজিংয়ের বিভিন্ন ছোট ছোট প্লটের মধ্যে বাঁশ বেঁধে তৈরি করা হয়েছে এই অস্থায়ী পশুর হাট। প্রতিটি প্লটে দুই সারি করে বাঁশ দিয়ে গরুর জন্য মাচাং তৈরি করা হয়েছে। মাচাংয়ের ওপরে বিক্রেতাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি গরুর ওপরে পলিথিন দিয়ে ছাউনি দেওয়া হয়েছে।

বিকেলে শাহজাহানপুর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের প্রবেশমুখে হাটের ইজারাদারের তদারকি কক্ষ বসানো হয়েছে। পাশেই রয়েছে পশু নামানোর দুটি পার্কিং র‍্যাম্প। ট্রাক থেকে একের পর এক কোরবানির পশু নামানো হচ্ছে সেখানে। হাটজুড়ে দেখা গেছে, মাঠের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জায়গা ইতোমধ্যে গরুতে পূর্ণ হলেও বাকি অংশ এখনো ফাঁকা। আশপাশের কলোনি ও ভবনের পাশে খালি জায়গাতেও পশু রাখার প্রস্তুতি রয়েছে, তবে সেসব জায়গাও এখনো অনেকটাই খালি। কুষ্টিয়ার খামার ‘ছাকিন এগ্রো’ হাটে এনেছে ২৪টি গরু। তাদের একজন কর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা গত পরশুদিন এখানে এসেছি। তবে এখনো কোনো গরু বিক্রি হয়নি। বিক্রির মত দাম হয়েছে, কেউ কিনছে না। ঝিনাইদহ থেকে যৌথভাবে ১৭টি গরু এনেছেন পাঁচ বিক্রেতা। তাদের একজন হামিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে সর্বনিম্ন ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে এক সর্বোচ্চ এক লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে গরু পাওয়া যাবে। এখনো কোনো গরু বিক্রি হয়নি। যেহেতু সময় আছে, আমরা আশা করছি সবগুলোই বিক্রি করে যেতে পারবো। কুষ্টিয়ার আরেক ব্যবসায়ী সুমন বলেন, বিভিন্ন সাইজের ৪৫টি গরু আনার পরিকল্পনা আছে। এখন পর্যন্ত ১৫টি গরু আনা হয়েছে। আমার এখানে থাকা সবচেয়ে ছোট গরুর গোশতের ওজন হবে ১০০ কেজি। এই গরুটি আমরা ১ লাখ ৫ হাজার টাকা চাচ্ছি। এছাড়া এখন পর্যন্ত আসা গরুগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। তবে কোন গরুই এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত