বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, একদিনে প্রচুর চামড়া বাজারে সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহটাকে সরকার লবণ দিয়ে সংরক্ষণ উপযোগী করে ডিলে করার চেষ্টা করেছে। যার ফল আলহামদুলিল্লাহ, গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে চামড়া ট্রানজেকশন হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের চক বৈদ্যনাথ চামড়ার আড়ত পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় আড়তদারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ বছর কিছু চামড়া পচে গিয়েছে। এটা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ভুলের কারণে, তাদের জ্ঞানের অভাবের কারণে। এই চামড়ার দাম পাওয়া যাচ্ছে, এটাই অনেক কিছু। তিনি বলেন, ছাগলের চামড়ার ক্ষেত্রে সরকারি মূল্য মানা হচ্ছে না। এটা আমরা নিজেরাও লক্ষ্য করেছি। আমরা সঠিক অ্যাকশন নেওয়ার চেষ্টা করব। এ বছরের শিক্ষা নিয়ে সামনের বছর থেকে যাতে এটা হয়। তবে গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে এই ব্যত্যয়টা হচ্ছে না।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার এ বছর সক্ষমতা তৈরি করেছে, লবণ দিয়েছে, তথ্যচিত্র তৈরি করেছে, পোস্টার বিলি করেছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদে মসজিদে চামড়া নিয়ে বয়ান দেওয়া হয়েছে। সরকার চাহিদা তৈরি করার ক্ষেত্রে রপ্তানির ওপর কাঁচা চামড়াসহ ওয়েট ব্লু চামড়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। সুতরাং চাহিদা এবং যোগান, যে পরিমাণ চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষিত হয়েছে আজ পর্যন্ত এ সংরক্ষণের ফলে সরবরাহ পর্যায়ে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আর ঘাটতি হলে যে কোনো পণ্যের মূল্য বাড়ে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবুল হায়াত, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী, চামড়া সমিতি গ্রুপের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।