ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার জন্য তারা কাজ করছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ইসরায়েল লোহিত সাগরের ইয়েমেনি বন্দর হোদাইদায় লক্ষ্য করে নৌ-হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি, ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা গাজার সঙ্গে সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তেলআবিব হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, হুথি হামলা চলতে থাকলে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে নৌ ও বিমান অবরোধ আরোপ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্রটি কোথায় আঘাত হেনেছে বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে কি না—সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত জানায়নি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, হুমকির মাত্রা অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে।
তবে এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল যখন গাজায় যুদ্ধ ও মানবিক সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে এবং ইসরায়েল-হুথি সংঘাত আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করছে। হুথি গোষ্ঠী ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে লোহিত সাগর ও আশপাশের পানিপথে পশ্চিমা জাহাজ এবং ইসরায়েলমুখী বাণিজ্যিক নৌবহরকে লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে। গাজার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এই হামলার দায় স্বীকার করে তারা বলছে, যতদিন ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান চালাবে, ততদিন হুথিদের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এই সংঘাত রেড সাগর অঞ্চলজুড়ে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।