সিলেট সুনামগঞ্জের চার সীমান্ত দিয়ে ৭০ জন ‘বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পুশইনের পরই সীমান্তে টহলরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)-এর আওতাধীন জৈন্তাপুরের শ্রীপুর, মিনাটিলা, কোম্পানিগঞ্জের কালাইরাগ ও ছাতকের নোয়াকোট বিওপির সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানায়, রাত আনুমানিক ১টা ২০ মিনিট থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে ভারতীয় ২ এবং ৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সিলেটের নোয়াকোট, কালাইরাগ, শ্রীপুর এবং মিনাটিলা সীমান্ত দিয়ে একযোগে এসব পুশইনের চেষ্টা চালায়। তবে সতর্ক অবস্থানে থাকা বিজিবির টহলদল তাদের সবাইকে নিরাপদে আটক করে। আটকদের মধ্যে সিলেট জেলার সীমান্ত এলাকার মোট ৫৩ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে কালাইরাগ বিওপি কর্তৃক দুটি পরিবারে মোট ১৩ জন আটক হন। এদের মধ্যে পুরুষ চারজন মহিলা তিনজন ও শিশু ছয়জন। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর বিওপি কর্তৃক ২টি পরিবারের মোট ১৭ জনকে আটক করে বিজিবি। তার মধ্যে পুরুষ চারজন, মহিলা চারজন ও শিশু ৯ জন রয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন কুড়িগ্রাম ও ১০ জন লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
জৈন্তাপুরের অন্য সীমান্তবর্তী মিনাটিলা বিওপিতে চারটি পরিবারের মোট ২৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। আটকদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন, মহিলা সাতজন ও শিশু সাতজন রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। এদিকে সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী ছাতক উপজেলার নোয়াকোট বিওপিতে চারটি পরিবারের মোট ১৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তার মধ্যে পুরুষ পাঁচজন, মহিলা চারজন, ও শিশু আটজন রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়।
বিজিবি সূত্রে আরও জানানো হয়, আটক ৭০ জনের মধ্যে ২২ জন পুরুষ, নারী ১৮ জন ও শিশু ৩০ জন। তাদের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার ৪৩ জন ও লালমনিরহাট ২৭ জন রয়েছেন। এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে আটকরা অতীতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। গত রাতে বিএসএফ তাদের রাতের আঁধারে পুশইন করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে আটকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।