ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ইরানে বিমান হামলা, শতাধিক ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলকে পাল্টা জবাব

* সেনাপ্রধান, কয়েকজন জেনারেল ও পরমাণু বিজ্ঞানীসহ নিহত ৭৮ * ‘তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতির’ জন্য প্রস্তুত হও, ইসরায়েলকে খামেনি * ইরানের নতুন সেনাপ্রধান ও আইআরজিসি প্রধান নিয়োগ * ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু * হামলার কথা আগেই জানতেন ট্রাম্প * ইরানে ইসরায়েলি হামলা স্পষ্ট উস্কানি: এরদোয়ান
ইরানে বিমান হামলা, শতাধিক ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলকে পাল্টা জবাব

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা এবং সামরিক কমান্ডারদের লক্ষ্য করে কয়েকশ বিমান হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবাজ ইসরায়েল। এতে গতকাল শুক্রবার ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও দুইজন পরমাণুবিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচিসহ সামরিক ও বেসামরিকসহ ৭৮ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ৩২৯ জন আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে প্রায় শতাধিক ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান। এই হামলা মোকাবিলায় আগেভাগে নিজেদের খাবার, পানি মজুতের পাশাপাশি দেশের চতুর্দিকে সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।

গতকাল শুক্রবার ইরানের আটটি স্থানে কয়েক ধাপে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইরানের রাজধানী তেহরান ও এর আশপাশের সামরিক স্থাপনা; তেহরানের দক্ষিণে নাতানজ শহর, যেখানে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র অবস্থিত; তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহর, যেখানে একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও দুটি সামরিক ঘাঁটি আছে, তেহরানের দক্ষিণে ইস্পাহান শহর; তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরাক শহর এবং পশ্চিমে কেরমানশাহ শহরেও বিমান হামলা চালানো হয়। তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনেও। ইরানে বিমান হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তেহরান থেকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নাতানজ শহরে অবস্থিত ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে তার দেশ। ইরানের যেসব বিজ্ঞানী দেশটির জন্য (পারমাণবিক) বোমা তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন, তাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘যত দিন প্রয়োজন, তত দিন এমন হামলা চলবে।’ এদিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেন, জায়নবাদী এই হামলার জবাব অবশ্যই ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দেবে।

হামলায় সেনাপ্রধানসহ ৭০ জনের বেশি নিহত: ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, ইরানি জ্যেষ্ঠ দুই পরমাণুবিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচিসহ সামরিক ও বেসামরিক ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ফেরেদুন আব্বাসি ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা (এইওআই)-এর সাবেক প্রধান। ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর দেখভাল করে থাকে এইওআই। ২০১০ সালে তেহরানের একটি সড়কে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তখন প্রাণে বেঁচে যান তিনি। নিহত আরেক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

ইরানের নতুন সেনাপ্রধান ও আইআরজিসি প্রধান নিয়োগ: ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও আইআরজিসির প্রধান নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই সেনাবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভিকে দেশটির নতুন সেনাপ্রধান এবং আইআরজিসির প্রধান হিসেবে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুরকে নিয়োগ দিয়েছন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষামূলক ও নিরাপত্তা সক্ষমতা, প্রস্তুতি বৃদ্ধির জন্য জোর দেয়ার আহ্বান জানান খামেনি। এছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হুমকির সময়োপযোগী এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা ইরানের: ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে প্রায় শতাধিক ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান। গতকাল এই তথ্য জানায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েল এসব ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন সাংবাদিকদের বলেন, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ২০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, যেগুলো দেশটির ভেতরে প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

ইরানে দফায় দফায় বিমান হামলা ইসরাইলের: শুক্রবার ভোররাতে ইসরাইলি বিমানবাহিনী তেহরানের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালায়। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে একটি সামরিক বিমানবন্দরে নতুন করে হামলা চালায় ইসরাইল। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি তথ্য প্রকাশ করে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তাবরিজের কাছাকাছি বিমানবন্দর এলাকা থেকে আকাশে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হামলাটি যে স্থাপনায় করা হয়েছে, তা শাহিদ ফাকুরি সামরিক বিমানঘাঁটি বলে ধারণা করা হচ্ছে; যেখানে যুদ্ধবিমান রাখা হয়।

ইসরায়েলকে খামেনির হুশিয়ারি: ইরানে হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলকে তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হবে কঠোর ও মারাত্মক। পাল্টা হামলা আসন্ন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কখন ও কিভাবে হামলা হবে তা নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। হামলার পাল্টায় ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা বোঝা যাচ্ছে খামেনির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনায় প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, তেল আবিবকে তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানী শহিদ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার মজুত করলো ইসরায়েল: তেহরানে পরমাণু ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হামলার জবাবে ইরানও ইসরাইলে পাল্টা হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে ইসরায়েল খাদ্য ও পানি মজুত করেছে। ইসরাইলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, সারা দেশে রক্ত সংগ্রহের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে এবং যেসব রোগী বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো কিছুটা সুস্থ, তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে ইসরাইলের হাসপাতালগুলো।

ইসরায়েল সীমান্তে সেনা জোরদার: ইসরায়েল সীমান্তের চারদিকে ১০ হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং সব সীমান্তজুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সতর্ক করে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান আইয়াল জামির বলেন, ‘যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাইবে, তাকে বড় মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েলের জনগণ, আমি সম্পূর্ণ সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারি না। ইরানি শাসকগোষ্ঠী প্রতিশোধ নিতে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করবে। এ হামলার সম্ভাব্য মূল্য আমাদের আগের অভিজ্ঞতা থেকে আলাদা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ অভিযানের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নিচ্ছি। বাস্তব ও তাৎক্ষণিক হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতির জন্য সেনাবাহিনীর সব শাখা ও বিভাগ মিলিয়ে নজিরবিহীন চেষ্টা চালানো হয়েছে।

আকাশসীমা বন্ধ করল ইরান: ইসরায়েলের হামলার পর ইরান নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করেছে। ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার জনসংযোগ বিভাগ বলেছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে।

ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়: ইরানে পরিচালিত ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। শুক্রবার) হামলার খবর প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই তিনি এ কথা বলেন। প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। আত্মরক্ষার্থে তারা এই হামলা চালিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এর সঙ্গে জড়িত নয়। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে, (ওই অঞ্চলে মোতায়েনকৃত) মার্কিন সেনাদের সুরক্ষা প্রদান করা।

ইসরায়েলের হামলার কথা আগেই জানতেন ট্রাম্প: ইরানে বিমান হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবগত করা হয়েছিল। ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে অনুসারে, ট্রাম্প বলেছেন ‘ইরানের পারমাণবিক বোমা থাকতে পারে না। আমরা আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আশা করছি। আমরা দেখব...।’ ‘ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন যে, ইরান প্রতিশোধ নিলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে এবং ইসরায়েলকে রক্ষা করতে প্রস্তুত।’

মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক: ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার বৈঠক করেন। রয়টার্সকে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। এর মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনাও রয়েছে। এক নিরাপত্তা সতর্কতায় জেরুজালেমের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে। ইসরায়েল ও দখলকৃত পশ্চিম তীর ভ্রমণে সরকারি কর্মীদের ওপর আরও বিধিনিষেধও আরোপ হতে পারে।

বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া: ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আগ্রাসন জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালা এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত। এটি আঞ্চলিক, বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে এবং এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার অনুরোধ করছে যা চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করতে পারে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র খ্যাত সৌদি আরব ইরানে ইসরায়েলের হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়া উদ্বিগ্ন। এই উত্তেজনা বৃদ্ধি ইতোমধ্যেই অস্থির একটি অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে হবে। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এক মুখপাত্র বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন মহাসচিব। মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো ধরনের সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়েছেন মহাসচিব। বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা চলাকালে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যেকোনো মূল্যে বড় ধরনের সংঘাতের দিকে ধাবিত হওয়া এড়াতে বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

স্পষ্ট উস্কানি: ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে ‘স্পষ্ট উস্কানি’ অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এই অঞ্চলকে বিপর্যয়ের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে এরদোয়ান বলেন, আঙ্কারা এই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নেতানিয়াহু সরকারের ‘বেপরোয়া, আইনহীন এবং আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। এটি অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। এই অঞ্চলে আর রক্তপাত, ধ্বংস বা সংঘাত দেখতে চাই না। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েলের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের অবসান ঘটাতে হবে, যা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত