আহমেদাবাদে ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বোমাতঙ্কের কারণে থাইল্যান্ডে ফিরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছে এয়ার এনডিয়ার একটি ফ্লাইট। দিল্লিগামী এআই-৩৭৯ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে থাইল্যান্ডের ফুকেট থেকেই উড্ডয়ন করেছিল। কিছুক্ষণ পরই উড়োজাহাজে বোমা হামলা হওয়ার হুমকি পাওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ পাইলটরা উড়োজাহাজটিকে আন্দামান সাগর থেকে ঘুরিয়ে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের ফুকেট বিমানবন্দরেই নিয়ে আসেন। জরুরি অবতরণের পর উড়োজাহাজ থেকে ১৫৬ যাত্রীর সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বোমা হামলার হুমকির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। এয়ার ইনডিয়ার কাছ থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইনডিয়ার একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়ে ২৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর ভারতের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর একের পর এক ভুয়া বোমা হামলার হুমকি পেয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম ১০ মাসেই এ ধরনের হুমকি মিলেছিল প্রায় এক হাজার, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ছিল প্রায় ১০ গুণ বেশি। এয়ার ইনডিয়া এর আগে ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ২০২২ সালে এটি টাটা গ্রুপের হাতে চলে যায়। ২০২৪ সালে টাটা গ্রুপ এয়ার ইনডিয়ার সঙ্গে ভিস্তারাকে এক করে ফেলে। এর আগে টাটা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে মিলে ভিস্তারা এয়ারলাইনস বানিয়েছিল।
আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ, নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে অভিযান : গুজরাটের আহমেদাবাদে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর এয়ার ইনডিয়ার উড়োজাহাজ আছড়ে পড়ার ঘটনায় নিখোঁজ লোকজন ও বিমানের যন্ত্রাংশের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবারের ওই দুর্ঘটনায় লন্ডনগামী ফ্লাইটটির ২৪২ আরোহীর একজন বাদে বাকি সবাই নিহত হয়েছেন। বোয়িংয়ের এ ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি যে হোস্টেলের ওপর পড়েছে তার অনেক বাসিন্দাও হতাহত হয়েছেন। উড়োজাহাজের আরোহীদের বাইরে দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আরও ২৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। তাতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬৫। এ দুর্ঘটনাকে এক দশকের মধ্যে উড়োজাহাজ সংক্রান্ত সবচেয়ে বাজে দুর্ঘটনা বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভারতীয় কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, তারা এখনও হোস্টেল এবং এর আশপাশের নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ উদ্ধারে গত বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চলেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এর মধ্যেই উড়োজাহাজটির দুটো ব্ল্যাক বক্সের একটি পেয়েছেন। রয়টার্স এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হতে পারেনি। যে ব্ল্যাক বক্স মিলেছে সেটি ফ্ল্যাইট ডেটা রেকর্ডার নাকি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার তা জানায়নি হিন্দুস্তান টাইমস। ব্ল্যাক বক্সগুলো পাওয়া গেলে তা থেকে দুর্ঘটনার কারণ জানা যেতে পারে। বিশ্লেষকরা আপাতত যান্ত্রিক ত্রুটি এবং পাখির আঘাতকে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ বিবেচনা করছেন। গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তিনি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দরে নেমেই চলে যান পাশের মেঘানি নগরে, যেখানে এয়ার ইনডিয়ার ড্রিমলাইনারটি আছড়ে পড়েছিল। তার সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। পরে মোদী হাসপাতালে গিয়ে দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওযা উড়োজাহাজের একমাত্র যাত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বাস কুমার রমেশের সঙ্গেও দেখা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ১২ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মোদী এর আগে আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ‘স্তম্ভিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। মোদীর আগে গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাম মোহন নাইড়ু কিনজারাপু। এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চণ্ডপর্যায়ের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে কিনজারাপু জানিয়েছেন। আবাসিক এলাকায় বিমান আছড়ে পড়ায় হতাহতের পরিমাণ অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা থাকলেও উড়োজাহাজ আছড়ে পড়ার সময় মেডিকেল হোস্টেলটিতে খুব বেশি লোক ছিল না বলে জানিয়েছেন আশপাশের ভবনগুলোর বাসিন্দারা। দুপুরের খাওয়ার সময় উড়োজাহাজটি হোস্টেলের ওপর পড়ে; দুর্ঘটনার পর বিমানের লেজের একটা অংশকে ভবনের মাথায় আটকে থাকতেও দেখা গেছে। আশপাশের বাসিন্দারা বলছেন, হোস্টেলটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল বছরখানেক আগে, যে কারণে সেটি পুরোপুরি ভর্তি ছিল না। “আমরা বাড়িতে ছিলাম, হঠাৎ এক শব্দ শুনি, মনে হয়েছিল বড় কোনো বিস্ফোরণ। এরপর আমরা দেখি পুরো এলাকাজুড়ে গাঢ় কালো ধোঁয়া,” বলেছেন ওই এলাকায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে থাকা ৬৩ বছর বয়সী নিতিন যোশী। সিসিটিভি ফুটেজে উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজটিকে আবাসিক এলাকার উপর দিয়ে খানিকক্ষণ উড়তে দেখা যায়। এরপরই উড়োজাহাজটি স্ক্রিন থেকে গায়েব হয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে বিশাল এক আগুনের কুণ্ডকে ভবন ছাপিয়ে আকাশের দিকে উঠতে দেখা যায়। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিও আছেন। গতকাল শুক্রবার এয়ার ইনডিয়ার প্রধান নির্বাহী ক্যাম্পবেল উইলসনও দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এয়ার ইনডিয়া বলছে, দুর্ঘটনা নিয়ে তাদের তদন্ত শেষ হতে সময় লাগবে। আর উড়োজাহাজের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং জানিয়েছে, তদন্তে সহায়তা করতে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল ভারতে যেতে প্রস্তুত রয়েছে। বোয়িংয়ের কোনো ড্রিমলাইনার এবারই প্রথম বিধ্বস্ত হলো। ২০১১ সাল থেকে এই ড্রিমলাইনার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করছে বলে এভিয়েশন সেইফটি নেটওয়ার্কের তথ্যে দেখা যাচ্ছে। ফ্লাইটরেডার টোয়েন্টিফোর বলছে, এয়ার ইনডিয়ার যে ড্রিমলাইনারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি ২০১৩ সালে প্রথম উড়েছিল, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে এটি এয়ার ইনডিয়ার হাতে আসে। ভারতে শেষ প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা হয়েছিল ২০২০ সালে, সেবারের ঘটনাতে জড়িত ছিল এয়ার ইনডিয়া এক্সপ্রেস। এটি এয়ার ইনডিয়ারই সস্তা পরিবহন শাখা। এই ক্যারিয়ারটি এর আগে ভারতের সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ২০২২ সালে এটি টাটা গ্রুপের হাতে চলে যায়। ২০২৪ সালে টাটা গ্রুপ এয়ার ইনডিয়ার সঙ্গে ভিস্তারাকে এক করে ফেলে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে মিলে টাটা ভিস্তারা এয়ারলাইনস বানিয়েছিল। দুর্ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন জানিয়েছে, যে ড্রিমলাইনারটি দুর্ঘটনায় পড়েছে তার চালকদের মধ্যে একজন সুমিত সাবারওয়ালের ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। তার সঙ্গে থাকা ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দারের ঝুলিতে ছিল এক হাজার ১০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা।
উড়োজাহাজের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন মোদি, সাক্ষাৎ করেছেন একমাত্র জীবিত আরোহীর সঙ্গে: ভারতের আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শনে গতকাল শুক্রবার সেখানে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি উড়োজাহাজের একমাত্র জীবিত আরোহীর সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল বিমানবন্দরে নেমেই মেঘানিনগরের কাছে দুর্ঘটনাস্থলে চলে যান। তার সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। গুজরাট অঙ্গরাজ্যের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বোয়িং ৭৪৭ ড্রিমলাইনার। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে ঘটেছে দুর্ঘটনাটি। বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক, ১১ শিশু এবং ২ জন নবজাতক ছিল। কেবল একজন আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। বিশ্বাসকুমার রমেশ নামের ওই যাত্রী হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ড পর বিকট শব্দ শুনি, তারপরই সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। চারপাশে শুধু লাশ আর বিমানের ধ্বংসাবশেষ। আমি কোনোমতে উঠে দাঁড়িয়ে দৌড় দিই, এরপর কেউ একজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে গিয়ে কুমারের সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। দুর্ঘটনার খবর শোনার পর তিনি হতবাক হয়ে যান বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন মোদি। তিনি লিখেছেন, পুরো ঘটনাটি এতোটাই হৃদয়বিদারক, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই দুঃখের সময়ে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবার পাশে আমি রয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় নিয়োজিত মন্ত্রীবর্গ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিনজারাপু। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র সরকার। দুর্ঘটনার শিকার উড়োজাহাজটি শহরের বিখ্যাত বিএম মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থীও মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব ধনঞ্জয় দ্বিবেদী জানান, বিমানটি ভেঙে পড়েছে সিভিল হাসপাতাল ছাত্রাবাস ও কর্মচারী কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকায়। ওইসব ভবনের বাসিন্দারাও আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে বিমানের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিমানের লেজ আটকে আছে ভবনের ছাদের ওপর। ভারতের এনডিটিভি ও সিএনএন-নিউজ১৮-এর খবরে বলা হয়েছে, বিমানের প্রধান অংশটি পড়ে হোস্টেলের ডাইনিং হলের ওপরেই, যেখানে অনেক শিক্ষার্থী খাবার খাচ্ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী বলেন, ১১এ নম্বর আসনের যাত্রী রমেশকে জীবিত পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যেও কেউ কেউ বেঁচে থাকতে পারেন। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যা ২০১৩ সালে প্রথম উড়েছিল। ২০১৪ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়। বোয়িংয়ের মতে, ড্রিমলাইনার মডেলের এটিই প্রথম বড় দুর্ঘটনা। বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মেইডে সংকেত পাঠায় এবং তারপর থেকেই আর যোগাযোগ ছিল না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি.আর. পাতিল জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও রয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত এয়ার ইন্ডিয়া বর্তমানে টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন। ২০২২ সালে সরকার থেকে অধিগ্রহণের পর ২০২৪ সালে ভিস্তারার সঙ্গে একীভূত হয় এয়ারলাইনটি। টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন. চন্দ্রশেখরন জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করা হবে এবং হোস্টেল পুনর্র্নিমাণেও সহায়তা করা হবে। এর আগে ২০২০ সালে কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে একটি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পড়ে ২১ জন নিহত হন। ওই ঘটনাটির চার বছর পর ফের বড় ধাক্কা খেলো ভারতের বিমান পরিবহন খাত।