ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তেলআবিব হাইফা জেরুজালেম তছনছ

তেলআবিব হাইফা জেরুজালেম তছনছ

রাজধানী তেলআবিব, অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হাইফা ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। গত শনিবার মধ্যরাত, গতকাল ভোর ও সন্ধ্যায় ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুগুলোতে তিন দফা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এতে গতকাল সকাল পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হন বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তবে প্রাণহানির আসল সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানিয়েছে অনেক সংবাদমাধ্যম। ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, তেলআবিবের বাত ইয়াম এলাকায় পাঁচজন নিহত হন; আরও পাঁচজন নিহত হন উত্তরাঞ্চলীয় শহর তামরাতে। সংস্থাটি বলেছে, শনিবার রাতভর ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নতুন করে ২০০ জন আহত হয়েছেন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলার পর হাইফা, তেলআবিব ও জেরুজালেমের হাসপাতালগুলোতে আহতদের ভিড় দেখা গেছে। খবরে বলা হয়, ‘অপারেশন ট্রু প্রোমিজ থ্রি’-র অধীনে পরিচালিত নতুন হামলায় ইরান দ্রুতগতির মিসাইল ব্যবহার করে, যার অধিকাংশই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে এবং ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মিসাইলগুলোকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়।

হাইফা তেল শোধনাগার জ্বলছে : আলজাজিরা জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে হাইফার তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করে ইরান। সামাজিকমাধ্যমের ভিডিওতে সেখানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর রামাত গানে বহু অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং নতুন করে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানকার হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করেনি স্থানীয় মিডিয়া। ইরানি হামলায় হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নেতানিয়াহুর সরকার। আলজাজিরা জানিয়েছে, রামাত গানে হতাহতের সংখ্যা বেশি; কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো তেমন আন্ডারগ্রাউন্ড সুবিধা নেই।

হামলার পর ৫০ ইসরায়েলি নিখোঁজ : ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেলআবিবের বাত ইয়াম এলাকায় বেশ কয়েকটি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। একটি ভবনের নিচে অন্তত ১৫ জন আটকা পড়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। গত রোববার টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শহরের একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানার পর থেকেই ৩৫ জনের খোঁজ মিলছে না। আলজাজিরা বলছে, শহরের একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন ওই ৩৫ জন। সম্ভবত তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। এরইমধ্যে তারা প্রাণ হারিয়েছেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেরুজালেমে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ : ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাতে ইরানি হামলার পর জেরুজালেমের বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন দেখা গেছে। একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে। ইসরায়েলি রিপোর্টার হ্যাগি মাতার তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বলেছেন, তেলআবিবে ভয়াবহ গোলাবর্ষণ হচ্ছে। বেশকিছু বড় ধরনের বিস্ফোরণও ঘটছে। ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, হাইফা, তেলআবিব, জেরুজালেম ছাড়াও গ্যালিলি এলাকায় আঘাত হানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র। সেখানে একটি দোতলা ভবন আক্রান্ত হলে ১৪ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজছে। ভয়ার্ত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছোটাছুটি করছেন; কান্নাকাটি করছেন।

ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছেন হুথিরাও : ইসরায়েল বলছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র শুধু ইরান থেকেই আসছে তা নয়, ইয়েমেন থেকে হুথি আনসার-আল্লাহর যোদ্ধারাও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছেন হুথিরা। তাদের হামলায় ইসরায়েলের অতিগুরুত্বপূর্ণ বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। ইরানের হামলার পর বিমানবন্দরটি এখন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইরানের সমর্থনপুষ্ট সংগঠনটি গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রায় ২০ মাস ধরে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে। গত রোববার সকালে এক বিবৃতিতে হুথিরা জানিয়েছেন, ইরানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা তেলআবিবে শত্রুর সংবেদনশীল স্থানগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন। এতে ‘ফিলিস্তিন-টু’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হয়। তাদের হামলায় মধ্য ইসরায়েলে অন্তত চারজন এবং উত্তর ইসরায়েলে আরও চারজন নিহত হন বলে নিশ্চিত করেন হুথিরা।

যুদ্ধবিমানের জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে হামলা : ইরান থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানের জ্বালানি উৎপাদন এবং সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হেনেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে আইআরজিসির সশস্ত্র বাহিনীর পাল্টা আক্রমণাত্মক অভিযান আরও ‘জোরালো ও ব্যাপক’ মাত্রার হবে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলের তিনটি ক্রুজ মিসাইল, ১০টি ড্রোন ও বেশ কিছু মাইক্রো ইউএভি নিষ্ক্রিয় করেছে ইরান। ইরানের মেহের নিউজ জানিয়েছে, শনিবার মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে ইসরায়েলের ১০টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে ইরান। ইরানের খাতাম আল-আম্বিয়া আকাশ প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কমান্ডার মেহের নিউজকে জানিয়েছেন, এক ঘণ্টার ব্যবধানে তারা দখলদার ইসরায়েলের ১০টি সামরিক বিমান ধ্বংস করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। এতে দেশটির বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ৭৮ জন নিহত হন। এরপর পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। শনিবার তেহরানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। রোববার সকালে ইসরায়েল জানায়, তাদের বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ ও উৎক্ষেপণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে পশ্চিম ইরানে আরেকটি হামলা চালিয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

গাজায় ইসরায়েলি সেনা নিহত : ইরানের সঙ্গে তীব্র যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার প্রতিবেদনে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই সেনা দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হন। নিহতের নাম সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস নোয়াম শেমেশ। তিনি কফির ব্রিগেডের শিমশন ব্যাটালিয়নের একটি স্কোয়াডের কমান্ডার ছিলেন। জেরুজালেমের বাসিন্দা শেমেশ খান ইউনিসে রকেট চালিত গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারান বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ইসরায়েলের হিসাব মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় বর্বরোচিত হামলা শুরু করার পর এ নিয়ে মোট ৪৩০ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর মনোযোগ নিবদ্ধ থাকায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী আরও বেশি মাত্রায় হামলার শিকার হতে পারে।

হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান : ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান। দেশটির রক্ষণশীল সংসদ সদস্য ইসমাইল কসারি এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে ইরানি বার্তাসংস্থা আইআরআইএনএন। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্যপথগুলোর একটি হলো হরমুজ প্রণালী। এটি পারস্য উপসাগরের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ, একদিকে ইরান আর অপরদিকে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ প্রণালী পারস্য উপসাগরকে গালফ অফ ওমান এবং ভারত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত করে। প্রশ্ন উঠেছে, ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তাহলে বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব কী হবে? আলজাজিরা এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন বিশ্বের মোট খরচ হওয়া তেলের প্রায় ২০ শতাংশ হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। আলজাজিরা বলেছে, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবে বাড়বে। এছাড়া যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হবে।

ইসরায়েলি হামলার নিন্দায় সৌদি যুবরাজ : সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করে ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়, যুবরাজ এই হামলাকে ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইন ও প্রথার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে চলমান কূটনৈতিক সংলাপ ব্যাহত করেছে এবং উত্তেজনা প্রশমনে ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে গৃহীত উদ্যোগগুলোতে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। মোহাম্মদ বিন সালমান জোর দিয়ে বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তিতে বলপ্রয়োগের নীতি গ্রহণযোগ্য নয় এবং মতপার্থক্যের সমাধানে সংলাপই হওয়া উচিত মূল ভিত্তি। আলোচনার সময় সৌদি যুবরাজ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এছাড়া, যুবরাজ মোহাম্মদ ইরানে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন।

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি : ইরানে ইসরায়েলি হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে আসছে তেহরান। এই অবস্থায় ইরান মার্কিন স্থাপনায় হামলা চালালে তার পরিণতি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী এমন প্রতিশোধ নেবে, যা তারা আগে কখনও দেখেনি। ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সামরিক কুচকাওয়াজে সভাপতিত্ব করার কয়েক ঘণ্টা পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে দাবি করেছেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংযোগ নেই এবং সংঘাতের অবসান ঘটাতে তার প্রশাসন দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী।

তেহরানে দফায় দফায় বিস্ফোরণ : ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এক নজিরবিহীন মাত্রায় পৌঁছেছে। ইরানের রাজধানী তেহরানে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সেখানে সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র কয়েক মিনিট আগেও কমপক্ষে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যা ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দেয়। একই সঙ্গে ইরানও পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ইরান আগামী দিনে আরও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এক সংবাদ সম্মেলনে আইডিফের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, চ্যালেঞ্জিং দিন সামনে আসছে। আগামী দিনগুলোতে আরও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীও এক মুহূর্তের জন্য হামলা থামাচ্ছে না। ডেফরিন বলেন, এই মুহূর্তেও আমরা তেহরানে ডজনেরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছি। আমরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সামরিক সক্ষমতার ওপর আঘাত বাড়াচ্ছি, যাতে ঘরোয়া ফ্রন্টে (ইসরায়েলের অভ্যন্তরে) ঝুঁকি কমানো যায়। এই বিবৃতিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং সামনের দিনগুলোতে সংঘাত আরও গভীর হতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত