স্কুল-কলেজের ক্লাসে আগের মতো এখন আর পড়ালেখা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্টের আশায় কোচিং-প্রাইভেটে দৌড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে শিক্ষকরা অধিক মুনাফার আশায় বেশি বেশি কোচিং-প্রাইভেটের ব্যবসা শুরু করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছে, তেমন তাদের অভিভাবকদের অস্বস্থিতে ফেলছে।
জানা যায়, স্কুলপর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। ওইসময়ে তাকে দৈনিক একাধিক বিষয়ে পড়ানো হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- বিদ্যালয়ের ওই পড়ানোয় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জিত হচ্ছে না। ফলে শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাসায় প্রাইভেট মাস্টার অথবা বাইরে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রাইভেট মাস্টার ও কোচিং উভয় মাধ্যমে পাঠ গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ তো গেল স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েও প্রাইভেট এবং কোচিং করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অসামর্থ্যবান অনেক শিক্ষার্থী চাপে পড়ে বাধ্য হচ্ছেন। প্রাইভেট পড়তে বা কোচিং না করায় পাস করার উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে বিস্তর। এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার নজিরও রয়েছে আমাদের চোখের সামনে। এজন্য প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টায় পর্যন্ত রাস্তায় পিঠে স্কুলব্যাগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভিড়, এই চিত্রটি রাজধানী ঢাকা শহরসহ অনেক বিভাগীয় শহরের। তাদের গন্তব্য স্কুল বা কলেজ নয়-তাদের গন্তব্য কোচিং সেন্টার। বর্তমানে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কোচিং সেন্টার-নির্ভরতা দিনে দিনে বাড়ছে। কিন্তু কেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ কোচিংনির্ভরতা? এর বড় কারণ হচ্ছে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন অনেকটাই পরীক্ষা ও নম্বরকেন্দ্রিক, তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের আশায় এর পেছনে ছুটছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তাদের জিজ্ঞেস করলে একটিই উত্তর-ভালো ফলাফলের জন্য কোচিংয়ে পড়তে হবে, স্কুল বা কলেজে তো তেমন পড়ালেখা হয় না, স্কুলগুলোতে মানসম্পন্ন পড়াশোনা না হওয়ায় অপারগ হয়েই আমরা কোচিং সেন্টারমুখী হচ্ছি। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য যেতে হবে কোচিং সেন্টারে, স্কুলে গুরুত্ব দিয়ে শেখালে কোচিংয়ে যেতে হতো না। বরং কোচিংয়ে গেলে কিছু শেখা যায়, নিয়মিত পরীক্ষা হয়, কোচিংয়ে বিষয়গুলো প্র্যাকটিস করে যেতে হয়, কোচিংয়ের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। কোচিংয়ের বিশেষত্ব হচ্ছে তারা শিক্ষা বছরের শুরু থেকেই পাঠ্যবইয়ের চ্যাপ্টারগুলো সামারাইজ করে ছোট আকারে তৈরি করে, যাতে পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ বা ভালো রেজাল্ট করতে পারে।
তাদের মতে, এখন শিক্ষার্থীরা আর শেখার জন্য বা লেখাপড়ার জন্য স্কুল-কলেজে যায় না, তারা স্কুলে যায় শিক্ষার্থী হিসাবে স্কুলের তালিকায় নাম থাকার জন্য। ভালো রেজাল্টের আশায় এভাবে অভিভাবকরা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ছেলেমেয়েদের কোচিংয়ে বা প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পাঠাচ্ছেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় শ্রেণিশিক্ষকের অনৈতিক বাধ্যতামূলক প্রাইভেট ও কোচিংয়ে অতিষ্ঠ তারা। বিশেষ করে বার্ষিক পরীক্ষা সামনে রেখে এ যন্ত্রণা আরও তীব্র হয়। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া বা নম্বর কম দেওয়াসহ অন্যান্য ভয় দেখিয়ে শিক্ষকরা তাদের কাছে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন। এছাড়া পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পাওয়া, কম বা ভুল লিখলেও বেশি নম্বর পাওয়ার প্রলোভনও দেখানো হয়। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন। এসব অনৈতিক প্রাইভেট বা কোচিংয়ের চাপ দিন দিন বাড়তে থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গড়ে উঠছে না।
শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ও নৈতিকতা অর্জনের স্বার্থে অবিলম্বে বাধ্যতামূলক কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার প্রথা বন্ধ করার পক্ষে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা চান, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষেই আন্তরিকভাবে পাঠদান করুন শিক্ষকরা।
ঢাকার সামসুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক মীর আনোয়ার হোসেন জানান, স্কুল পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর মাসিক বেতন দিতে হয় ১৫শ’ টাকা। আর স্কুলের তত্ত্বাবধানে কোচিং (বাধ্যতামূলক) পরিচালনা করা হতো, সেই কোচিংয়ের ফি ছিল তিন হাজার টাকা। কিন্তু দলীয় সরকারের পতন হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওই অবৈধ কোচিং বাণিজ্য সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, বিদ্যালয়ে পাঠদান এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোচিংয়ের পড়ার পরও তার সন্তানের পড়া কমপ্লিট হচ্ছে না। এরপর তিনি একাধিক শিক্ষকের কাছে বিষয়ভিত্তিক প্রাইভেট পড়ান সন্তানকে, এতে আরও বাড়তি ব্যয় তার অন্তত ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাধ্যমিক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর জন্য তার পরিবারের মাসিক বেতন ও প্রাইভেট শিক্ষকের সম্মানিতে ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা। তিনি জানান, অনেকের সন্তান কম মেধাবী হলে তার পেছনে সামর্থ্যবান অভিভাবকের ব্যয় আরও বেশি। শিক্ষায় নানা ধরনের দুর্নীতি আছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকল, শিক্ষক নিয়োগে অর্থ বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য এমন অনেক দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এর বাইরেও অনেক দুর্নীতি আছে, যা সাধারণের কাছে দুর্নীতি বলে মনে হচ্ছে না। এগুলো হচ্ছে শিক্ষার সাদামাটা-সহজ দুর্নীতি।
সূত্র জানায়, এখন নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। সরকার অনেক কিছু সংস্কারে হাত দিয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কর্মসূচি চলছে। শিক্ষাব্যবস্থায়ও সংস্কার শুরু হয়েছে। তবে তৃণমূল পর্যায়ে সেই সংস্কার কার্যক্রমে সুফল অভিভাবক শিক্ষার্থীরা দেখছেন না। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক লেখা প্রবন্ধ নিবন্ধ জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লেখাপড়ার গুণগতমান ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, অভািভক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়- এসব বিষয়ে এখনও কোনো পরিবর্তন হয়নি, হচ্ছেও না।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শুভ্রেন্দু ভট্টাচার্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জরিপের বরাত দিয়ে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক-তৃতীয়াংশের বেশি শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে। জরিপে অংশ নেওয়া এক-তৃতীয়াংশ মানুষের ধারণা, শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট টিউটরের কাছে না পড়লে নানা সমস্যায় পড়ে; এমনকি তারা ফেল করে। বাস্তব ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরেই প্রাইভেট পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক বেশি, বিশেষ করে মেট্রোপলিটন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে কোনো শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে না, তা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। অভিভাবকরাও এ ব্যাপারে সিরিয়াস নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা নিজ স্কুলের শিক্ষকদের কাছে পড়তে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরেও শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার হার বাড়ছে। এদিকে নতুন শিক্ষাক্রমে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শিখনকালীন মূল্যায়ন শিক্ষকের হাতে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চাপ কমিয়ে যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী আনন্দের সঙ্গে শেখানোই নতুন এ শিক্ষাক্রমের অন্যতম লক্ষ্য। এজন্য নতুন শিক্ষাক্রমে কমানো হয়েছে পরীক্ষানির্ভরতা, বাড়ানো হয়েছে শিখনকালীন মূল্যায়ন, শিক্ষকরাই যার যার শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে। স্বাভাবিকভাবেই আশা করা হয়েছিল, এতে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিং-এ পড়ার প্রবণতা কমবে; কিন্তু হয়েছে উলটো। নতুন শিক্ষাক্রম শুরুর পর ভয়াবহভাবে বেড়েছে শিক্ষকদের প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য। অভিভাবকরা বলছেন, আগে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে প্রাইভেট কোচিং করত। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের হাতে বেশির ভাগ নম্বর থাকায় শিক্ষার্থীদের অন্তত চার-পাঁচটি বিষয়ে প্রাইভেট কোচিং করতে হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষকরা বলছেন, আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের চেয়ে শিক্ষার্থীর অনুপাত বেশি। ফলে একটি শ্রেণিকক্ষে ৮০ থেকে একশর বেশি শিক্ষার্থীকে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটে কি শেখানো যাবে- হাজিরা নিতেই তো সময় চলে যায়। সময় কম থাকায় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শেখার চাহিদা মেটানো যায় না। তাই তারা বাধ্য হয়েই কোচিং সেন্টারমুখী হচ্ছেন। তাদের মতে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত কম হলে শিক্ষকরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারতেন, তাদের সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতে পারতেন।
একাধিক জরিপ থেকে জানা যায়, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি শিক্ষার্থী প্রাইভেট/কোচিং পড়ে। মেট্রোপলিটন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে এ হার সবচেয়ে বেশি। জরিপে আরও উঠে আসে যে, শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট টিউটরের কাছে না পড়লে নানা সমস্যায় পড়ে, এমনকি তারা ফেল করে। অর্থাৎ, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়ে, মানসিক নির্যাতন করে, বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে এক শ্রেণির শিক্ষকেরা তাঁদের কাছে পড়তে বাধ্য করছেন। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নির্দেশ দিয়েছে, ক্লাস ছুটির পর বা বন্ধের দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ কোচিং ক্লাস বা প্রাইভেট পড়ানোসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। স্কুলের কক্ষে কোনো শিক্ষক কোচিং ক্লাস নিলে বা প্রাইভেট পড়ালে ‘এর দায় তাকেই নিতে হবে’ বলে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর এমন নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে ওই আদেশটি সব বিভাগীয় উপ-পরিচালক, পিটিআিই সুপারিনটেনডেন্ট, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়ে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছুটির পর বা বন্ধের দিনে শ্রেণিকক্ষ প্রাইভেট পড়ানো বা কোচিংসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার ‘অনভিপ্রেত’ মন্তব্য করে অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ওই আদেশে বলা হয়েছে, কোনোভাবেই বিদ্যালয়ের কক্ষ প্রাইভেট পড়ানো, কোচিংসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়ী থাকবেন।
বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. এম কোরবান আলী বলেন, আমরা চাই সব শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষেই লেখাপড়া শেষ করে ফেলুক। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী অমনোযোগী থাকে এবং লেখাপাড়ায় আগ্রহী না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, তারপরও উচিত বিদ্যালয়েই লেখাপড়া কমপ্লিট করিয়ে দেওয়া। কিন্তু কোনো শিক্ষক নিজ উদ্যোগে কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। এতে করে ওই শিক্ষকের পরীক্ষার রেজাল্টের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করার আশঙ্কা থাকে। এমনটা ঘটেছেও। কারণ তার বাণিজ্য ঠিক রাখার জন্য তিনি প্রাইভেট বা কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের খাতা দেখার ক্ষেত্রে সদয় থাকেন, নম্বর বাড়িয়ে দেন। এজন্য শিক্ষকদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ নেই। তবে খুই দুর্বল শিক্ষার্থী হলে স্কুলের যৌথ উদ্যোগে কোচিং হতে পারে, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ফি দিবে স্কুলে, যার অংশবিশেষ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক পাবেন। এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির সুযোগ কম। তবে সর্বোপরি তিনি শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষেই পাঠদান শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রবীণ এ শিক্ষাবিদ।