
কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার দায় স্বীকার করেছে। জানা গেছে, হামাস নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে সেখানে একত্রিত হয়েছিলেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে তারা কাতারের নাম উল্লেখ করেনি।
হামাসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছ, হামাসের যে নেতারা দোহায় ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
কাতারের দোহার কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টোয়েলভ জানিয়েছে, বৈঠকে হামাসের অন্যতম প্রধান নেতা খালেদ মাশাল উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে জর্ডানে একবার তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল হামাস নেতাদের।
দখলদার ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, ‘হামাসের রাজনৈতিক শাখার কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। এ ধরনের অপরাধমূলক হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন। এটি কাতারের নাগরিক এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য গুরুতর হুমকি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের এমন বেপরোয়া আচরণ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে তাদের হুমকি তৈরি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। একইসঙ্গে কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে চালানো যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও কাতার রুখে দাঁড়াবে।’ তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে এবং বিস্তারিত তথ্য দ্রুত জানানো হবে।’