ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নির্বাচনি ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে ইসি

নির্বাচনি ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে ইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সব ধরনে প্রস্তুতি শেষ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু ভোট পরিচালনার জন্য প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

ইসি নির্বাচন পরিচলনা সাখা জানায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরে তফসিল দিয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করার প্ররিকল্পনা ইসির। এরইমধ্যে ২৪ দফা অগ্রাধিকারভিত্তিক নির্বাচনি কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে ইসি। এতে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর। এ গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের ৩০০টি আসনের ভৌগোলিক সীমানা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ হয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রস্তুত জিআইএস (ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা) ম্যাপ ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে। এই ডিজিটাল ম্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি আসনের সীমানা আরও স্পষ্ট ও নির্ভুলভাবে উপস্থাপন সম্ভব হবে।

এদিকে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রাথমিক নিবন্ধনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপর দলগুলোর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। এই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নতুন দলগুলোর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে।

দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন ১৫ নভেম্বর : নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় সংস্থাগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইসি। নিবন্ধিত সংস্থাগুলো নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে।

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর : জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। এর আগে মুদ্রন শেষে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ১ নভেম্বর। দাবি-আপত্তি ও সংশোধনের আবেদনের শেষ সময় ১৬ নভেম্বর। দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১৭ নভেম্বর এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ নভেম্বর। গত ৩১ আগস্ট সম্পূরক চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, দেশে এখন ভোটার ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫৯৪ জন ভোটার। পুরুষ ভোটা ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ হাজার ২৩০ জন।

তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে আরও একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

প্রবাসীরা ভোট দেবেন যেভাবে :

প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার প্রাথমিক পদ্ধতি তুলে ধরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, নিবন্ধিতরাই পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পারবেন। কোনও প্রবাসী নিবন্ধন করে দেশে এসে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। নিবন্ধনের জন্য পোস্টাল ভোট বিডি নামে অ্যাপ তৈরি হচ্ছে।

আখতার আহমেদ জানান, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। কবে নাগাদ নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে তা জানানো হবে পরে। এছাড়া ডাক বিভাগের মাধ্যমে ব্যালট পেপার কবে পাঠানো হবে এবং প্রবাস থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আসবে সেটা তফসিলের ওপর নির্ভর করছে। সে জন্য পরে বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

ইসি সচিব বলেন, প্রবাসীদের পাশাপাশি নিবন্ধিত দেশের অভ্যন্তরে ভোটে নিয়োজিত কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাদেরও অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে।

নিবন্ধিত প্রবাসীর কাছে কীভাবে খাম ও নির্দেশনা যাবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে খাম পাঠানো হবে প্রবাসীদের কাছে। ব্যালট পেপারে ক্যান্ডিডেটদের নাম থাকবে না। শুধু থাকবে প্রতীক এবং প্রতীকের পাশে একটা স্পেস করে দেওয়া থাকবে। সেই স্পেসে তারা টিক চিহ্ন অথবা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, একটা বড় খামের মধ্যে তিনটা খাম দিয়ে প্রবাসীদের ঠিকানায় পোস্ট করা হবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে। একটা ব্যালট পেপার, আরেকটা খামের ভেতরে ভরা থাকবে। ভোট দেওয়ার পর আরেকটা খাম ফেরত পাঠাবে। এর মধ্যে নির্দেশনাও থাকবে।

প্রবাসীদের ভোটের বিষয়টি কবে শুরু হবে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এটা কবে নাগাদ শুরু করতে পারব, এটা সিডিউল ঘোষণার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটা সিনক্রোনাইজ করে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সীমানা বিরোধ : আদালতের রায়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে ইসি : সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, কোনো প্রেক্ষাপটে ভাঙচুর অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। বিষয়টি আদালতেও গেছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটা আমাদের জন্য বাধ্যবাধকতা হবে।

তিনি বলেন, কেউ প্রবাসে থাকা অবস্থায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য কেউ অনলাইনে নিবন্ধন করে দেশে চলে আসলে তিনি আর ভোট দিতে পারবেন না।

নিবন্ধনের জন্য অ্যাপ কবে নাগাদ হবে, সেটা পরে জানা হবে।

ইসি সচিব বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল ইসিতে আসবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। দল নিবন্ধনের ২২ দলের তদন্ত শেষ হয়েছে। আগামী কমিশন সভায় রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, সংলাপের বিষয়টি শিগগিরই ঠিক করা হবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে। এছাড়া দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কাজও প্রায় চূড়ান্ত। সীমানা নিয়ে বিরোধ, বিক্ষোভের বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ১৮টি রিট হয়েছে। আদালতের প্রতি আমরা আস্থাশীল। কাজেই সেখান থেকে নির্দেশনা আসুক সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করি। আগামী কমিশন বৈঠকে পর্যবেক্ষকদের বিষয় তোলা হবে।

সীমানা নির্ধারণ নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে তা নিয়ে কী বলবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো প্রেক্ষাপটে ভাঙচুর অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। বিষয়টি আদালতেও গেছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটা আমাদের জন্য বাধ্যবাধকতা হবে। আইনের সাত ধারায় বলা আছে, মামলা গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন রিট করা তো মৌলিক অধিকার।

নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কর্মকর্তা সংক্রান্ত দুই অধ্যাদেশ অনুমোদন : নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ ও নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের ৪৩তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। এটির উদ্যোক্তা ছিল লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ।

অন্যদিকে, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

৫০ লাখ প্রবাসীর ভোট নিতে চায় ইসি, মাথাপিছু ব্যয় ৭০০ টাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি ৩০ লাখের মতো বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের মধ্য থেকে অন্তত ৫০ লাখ প্রবাসীর ভোট দেওয়া প্রয়োগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে ইসি। কমিশন জানিয়েছে, প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার। ভোটারপ্রতি ব্যয় হবে ৭০০ টাকা।

ইসি বলছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রবাসীরা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন। এরপর ডাকযোগে ব্যালট পাঠিয়ে দেবে ইসি। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে অনলাইনে নিবন্ধন করতে প্রয়োজন হবে সচল এনআইডি।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘এবার আমরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব। আমাদের ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসীর মধ্যে ৫০ লাখের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার টার্গেট নিয়েছি।’

কমিশন জানিয়েছে, দেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের অন্তত ২০ দিন আগে একজন প্রবাসী ভোট দেবেন। এক্ষেত্রে ভোটার বর্তমান যে ঠিকানায় নিবন্ধন করেছেন, সেই ঠিকানায় একটি খামে একটি ব্যালট পেপার ও দুটি খাম যাবে। আর ভেতরে থাকা একটি খামে আসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানা থাকবে। ভোটার কলম দিয়ে নির্ধারিত উপায়ে ব্যালট পেপারে তার ভোট দিয়ে তা আবার রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানা লেখা খামে ভরে ডাকযোগে পাঠিয়ে দেবেন। সেই ভোট জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে জমা থাকবে। ভোটের দিন সেগুলো সংশ্লিষ্ট আসনে দেশের ভোটের সঙ্গে গণনা করা হবে।

ইসি জানায়, ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আধিক্য রয়েছে। এসব দেশকে মাথায় রেখে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, হংকং, মিশর, ব্রুনাই, মরিশাস, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, স্পেন, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক ও সাইপ্রাস। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী রয়েছে সৌদি আরবে, ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন। আর সবচেয়ে কম রয়েছে নিউজিল্যান্ডে দুই হাজার ৫০০ জন।

ইসি ধারণা করছে, ৭০ শতাংশের মতো প্রবাসী ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে। যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রবাসী ভোটারের সাড়া পাবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয় ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা শেষ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, হেশিয়ান বড় ব্যাগ, হেশিয়ান ছোট ব্যাগ, গানি ব্যাগ কেনা হয়েছে। জাতীয় ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা হয়ে গেছে।’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এই তথ্য জানান ইসি সচিব।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনসামগ্রী সংগ্রহের ব্যাপারে কাজ চলমান। মোটামুটিভাবে ১০টা আইটেমসহ কিছু লোকাল পারচেস বাকি ছিল, সেগুলো চলমান। অলমোস্ট ৭০ শতাংশ কেনাকাটা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি কেনাকাটা হয়ে যাবে। কাজেই নির্বাচন সামগ্রী নিয়ে সংকটে পড়ব কি না বা সাপ্লাই লাইনটা ঠিকমতো আছে কি না, এটা নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। বরং আমরা বলতে পারি, সেপ্টেম্বরেই আমরা যাবতীয় সামগ্রী পাচ্ছি। কাজেই নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সামগ্রীর যে সম্পর্ক সেটা স্টাবলিশড।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত