
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর থেকে গেজেট প্রকাশ করা পর্যন্ত ইইউ টিম থাকতে চায়। ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে চায় ইইউ প্রতিনিধিদল। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইইউ এর প্রাক-নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, সার্বক্ষণিক নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে মূল্যায়ন করতে চায় দলটি। এ জন্য ইইউ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষর হবে।
তিনি বলেন, পর্যবেক্ষকদের সবাই একসঙ্গে আসবেন না। তারা তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন সময় আলাদা আলাদাভাবে ভাগ হয়ে আসবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি টিম আমাদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। একটি অ্যাসেসমেন্ট টিম হিসেবে আমাদের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করে গেছেন। উনারা কয়েকটি বিষয়ে ক্লারিফিকেশন চেয়েছেন তারা আমাদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভা হবে। প্রতিনিধি দলের ১৫০ জন সদস্য আসবেন।
আখতার আহমেদ আরও বলেন, তারা জানতে চেয়েছেন ভোট কেন্দ্রে তারা ঢুকতে পারবেন কি না, ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে ঢুকতে পারবেন কি না, ভোট কাউন্টিংয়ের সময় থাকতে পারবেন কি না। শিডিউল ঘোষণার পর থেকে তারা বিভিন্ন সময়ে এই প্রতিনিধি দল আসতে চান। নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকবে গেজেট হওয়া পর্যন্ত কীভাবে রেজাল্ট প্রকাশ করা হয় সেটাও দেখতে চান। আমাদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে টিমটি সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমাদের ভোটার তালিকা আপডেটসহ নানা কাজের বিষয়ে তারা জানতে চাইলেন। নতুন ভোটারদের নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে খুশি তারা। তারা সব কিছু দেখে গেছেন সামনে একটা দল আবারও আসবে বলেও জানান তিনি।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেন সারাহ কুক : বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’