ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

রাত পোহালেই চাকসুর ভোট

রাত পোহালেই চাকসুর ভোট

রাত পোহালেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পাসের আইটি ভবন, নতুন কলা ভবন, বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান ও বাণিজ্য (বিবিএ) অনুষদ ভবনে ভোট নেওয়া হবে। এদিকে, চাকসু নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর, লেডিস, কলা, সমাজবিজ্ঞান ঝুপড়ি, প্রতিটি অনুষদ প্রাঙ্গণ, আবাসিক হল, জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ছিল প্রার্থীদের প্রচারণার ভিড়। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত ছিল প্রার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে দেখা যায়, প্রার্থীরা ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। ভোটাররাও প্রার্থীদের নানা প্রশ্ন করে যাচ্ছেন। প্রার্থী ও ভোটাদের মধ্যে একপ্রকার যুক্তিতর্ক চলতে দেখা গেছে।

বুদ্ধিজীবী চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারণা চালান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদের মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাফায়াত হোসেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে গিয়ে চাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছেন। শিক্ষার্থীরা খুব কৌতূহল নিয়ে শাফায়েতকে প্রশ্ন করে যাচ্ছে।

এসময় ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনিকে প্রচারণাপত্র বিতরণের ব্যস্ত ছিলেন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নির্বাচনি ইশতেহার সংক্ষিপ্ত আকারে বুঝানো চেষ্টাও করেন তিনি। শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে আসার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।

এদিকে, বুদ্ধিজীবী চত্বরে প্রচারণা চালায় বৈচিত্র্যর ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা। প্রচারণায় শেষ দিন হওয়ায় ভোটাররাও খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে প্রার্থীদের। প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি আনাগোনা দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস ঝুপড়িতে। যেখানে প্রায় প্রত্যেক প্যানেলের প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সার্বভৌম শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের মো. শাহনেওয়াজ আল হাসান আকর্ষণীয় প্রচারণাপত্র দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি কেন্দ্রীয় সংসদে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী। একই সঙ্গে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের শাফকাত শফিককেও প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। তিনি কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-ছাত্রীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদের লড়বেন। ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক পদের আরেক প্রার্থীকেও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে দেখা যায়। নওশিন তাবাসসুস যূথী নামের এই প্রার্থীকে।

ভোট কক্ষে থাকবে সিসি ক্যামেরা, ব্যালট বাক্স হবে স্বচ্ছ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে থাকছে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকাও। গত রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন। তিনি বলেন, বুধবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যালেট পেপার ছাপানোসহ সব প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, পাঁচটি ভবনের ৬০টি কক্ষে প্রায় ৭০০টি বুথে ভোট নেওয়া হবে। প্রতিটি কক্ষে গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর চাকসুতে ২৬টি এবং হলে ১৪টি পদে ভোট দেওয়ার সময় ধরে গোপন কক্ষ তৈরি করা হয়েছে বলে তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, চাকসুর মোট ব্যালট পেপার চার পৃষ্ঠার। হল ও হোস্টেল সংসদের ব্যালট পেপার এক পৃষ্ঠার। ব্যালটে প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বর থাকবে। বৃত্ত ভরাট করে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন।

চাকসু নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক মনির বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ধরনের সন্দেহ না থাকে সেজন্য স্বচ্ছ ব্যালেট বাক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সেটির ছবি কেন্দ্রের বাইরে দৃশ্যমান থাকবে, যা সবাই দেখতে পাবেন। এসময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে ভিডিওগুলো রেকর্ড থাকবে, যাতে কারও কোনো সন্দেহ না থাকে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যেসব অনুষদ ভবনে ভোট হবে সেগুলোর ডিন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিভাগের চেয়ারম্যানরা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া বিভাগীয় শিক্ষকদের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা পোলিং অফিসারের দায়িত্বে থাকবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতিটি ভবনে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সহায়তায় একজন করে নির্বাচন কমিশনার এবং হল প্রভোস্টরা থাকবেন।

কেন্দ্র থেকে ভোটের সরঞ্জামগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তারা গ্রহণ করে প্রত্যেকটি হলের জন্য প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে হস্তান্তর করবেন। তিনি বলেন, অব্যবহৃত ব্যালট সিলগালা করে ভোটের বাক্সসহ কেন্দ্র থেকে ফেরত আসবে এবং গণনার জন্য ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ফল গণনার বিষয়ে তিনি বলেন, ভোট গণনার স্ক্যানিং হবে ইমেজ আকারে। সেই ইমেজকে দুইটা প্যারালাল স্ক্যানিং করা হবে। যারা নির্বাচনি ভোট গণনা করবে, তাদের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সেলের প্রোগ্রামার আলাদাভাবে করবে। দুইটি মিলে গেলে আমরা ভোটের ফল প্রকাশ করব।

মত বিনিময় সভায় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি তুলেছিল সেগুলোর অগ্রাধিকার তালিকা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন না হওয়ায় সেটাকে অগ্রাধিকারের প্রথমে রেখে আয়োজন করা হয়। এরপর এখন হচ্ছে চাকসু নির্বাচন। এভাবে শিক্ষার্থীদের কী কী সুবিধা দেওয়া যায় তার একটি অগ্রাধিকার তালিকা করে সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

‘ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম’ চায় শিবির প্যানেল : চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচন আগামী ১৫ অক্টোবর। নির্বাচনি প্রচারণার আজ শেষদিন। চাকসু নির্বাচনে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ‘ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবিসহ নানা অভিযোগ নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে শিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। গতকাল সোমবার দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শিবির সমর্থিত প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী সাজ্জাত হোছন মুন্নার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব।

লিখিত বক্তব্য সাঈদ বিন হাবিব ৪টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেন। বিষয়গুলো হলো- অনলাইনে মিথ্যা তথ্য, বিভ্রান্তি ও বুলিং মোকাবিলায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা; আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং এবিষয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা; নির্বাচনের দিন অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জরুরি রেসপন্স টিম গঠন করা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ ও নিখুঁত ভোট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘চাকসু নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও অনেক বিষয় স্পষ্ট করেনি। এছাড়া প্রতিনিয়ত প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। কিন্তু চাকসু নির্বাচন কমিশন এবিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচনের অনেক বিষয় আমাদের কাছে অস্পষ্ট। আশা করছি, নির্বাচন কমিশন এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিন্ধী শিক্ষার্থীদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খুব শীঘ্রই আমাদের অবহিত করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের যোগ্য মনে করলে নির্বাচিত করবেন। অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা জিতলেও আমাদের আপসোস নেই। যেই নির্বাচিত হোক না কেন আমরা সবাই জিতে যাব।’ এসময় প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত চাকসু নির্বাচন। নির্বাচন কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদে সর্বমোট প্রার্থী হয়েছেন ৯০৮ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪১৫ জন এবং হল সংসদে অংশ নিচ্ছেন ৪৯৩ জন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, চাকসু নির্বাচনে ভোটদানে অংশ নিবেন ২৭ হাজার ৫১৬ জন।

দুদিন আগে ছাত্রদল নেতাকে আজীবন বহিষ্কার : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মামুন উর রশিদকে আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত রোববার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে সংগঠনের ঘোষিত প্যানেলের বাইরের এক প্রার্থীকে সমর্থনের অভিযোগ ওঠার পর মামুনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুধু সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মামুনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কেন্দ্রীয় কমিটির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। একই সঙ্গে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সবস্তরের নেতাকর্মীদের মামুন উর রশিদের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন তারা। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, চাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছেন। এ সময় তারা মামুনের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছেন। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সংগঠন শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। আলাউদ্দিন মহসিন আরও বলেন, ‘আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্যানেল ঘোষণা করেছি; কিন্তু প্যানেলের বাইরে গিয়ে তার অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে আমরা শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’ জানতে চাইলে বহিষ্কার হওয়া মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পদে থাকলেও তার কোনো মতামত নেওয়া হতো না। তাই অনেক আগেই কমিটি থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ছাত্রদলের প্যানেলের বাইরের কাউকে সমর্থন করার অভিযোগ সত্য নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে দাবি করে মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ আরও বলেন, প্যানেল ঘোষণার সময় তার কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। ছাত্রদলের অনেকেই প্যানেলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের অনুমোদিত আংশিক কমিটির অধীন কার্যক্রম পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। ওই কমিটিতে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মহসিনকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এ ছাড়া মামুনুর রশিদ জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, মো. ইয়াসিন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাজ্জাদ হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত