
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যকার প্রতীক সংক্রান্ত জটিলতা আরও বেড়েছে। বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। শাপলা প্রতীক না পেলে এনসিপি নিবন্ধন নেবে না, এমনটাই জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
গতকাল ইসির সিনিয়র সচিব গতকাল বলেন, ‘১৯ অক্টোবরের মধ্যে ইসির তপশিলের মধ্যে থাকা প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে। তা না হলে কমিশন নিজ বিবেচনায় এনসিপিকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে দেবে।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন, আমরা তা দিয়েছি। শাপলা প্রতীকের বিষয়ে ইসি আগের অবস্থানেই আছে।’
ইসি সচিব আরও বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন বিধিমালায় নেই, তাই শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই। যদি তারা প্রতীক না চায়, তাহলে কমিশনের বিবেচনায় আমরা প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে দেব। এনসিপি যদি এ মাসের ১৯ তারিখের মধ্যে নতুন প্রতীক জমা না দেয়, তাহলে এ বিষয়ে কমিশন নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে।’
এদিকে, শাপলা প্রতীক না পেলে নিবন্ধন নেবে না এনসিপি, এমনটাই জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। গতকাল দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, ইসি সচিবের আচরণ স্বৈরাচারী। শাপলা প্রতীক অবশ্যই দিতে হবে কমিশনকে। প্রতীক দেওয়া নিয়ে নির্বাচনে কোনো জটিলতা তৈরি হলে তার দায় কমিশনকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসির সিদ্ধান্তে কোনো আইনি ভিত্তি নেই। ইসি চাইলেই শাপলা তালিকাভুক্ত করতে পারে।
অন্যদিকে, দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বলেছেন, এনসিপি শাপলা পাবে।
প্রসঙ্গত, শাপলা প্রতীক পেতে অনড় অবস্থানে রয়েছে এনসিপি। এ নিয়ে ইসির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক ও চিঠি দিয়েছে দলটি। বিভিন্ন সময় এনসিপি নেতারা তাদের বক্তব্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রয়োজনে এই প্রতীক পেতে তারা লড়বেন রাজপথে। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়েও পুনর্বিবেচনা করবেন।