ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

৩৫ বছর পর ভোটের উৎসবে মাতল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

৩৫ বছর পর ভোটের উৎসবে মাতল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এই নির্বাচনে ৭২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন রাকসু নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ।

নির্বাচন শুরু হয় সকাল ৯টায় এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে। নির্বাচন কমিশন জানায়, দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপস্থিতি বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ শতাংশে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৯১৮ জন এবং ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। ক্যাম্পাসজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি মোড়, ভোটকেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন।

নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এসেছে। উভয় পক্ষ দাবি করেছে, ভোটগ্রহণে নানা অনিয়ম হয়েছে এবং কিছু হলে তাদের প্রতিনিধিদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে কোনো দল নির্বাচন বর্জন করেনি।

নির্বাচন যুগান্তকারী ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে- পর্যবেক্ষক টিম : বৃহস্পতিবার রাকসু নির্বাচন শেষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সন্মেলনে পর্যবেক্ষক টিমের সদস্য শফিকুল আলম বলেন, রাকসু যুগান্তকারী ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। তিনি বলেন, দিনভর প্রত্যেকটা কেন্দ্রে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। আমাদের সামনে কোনো অসঙ্গতি পড়েনি। কোনো অভিযোগও পাইনি। তিনি বলেন, যারা ভোট দিয়ে বের হয়ে গেছে, লাইনে যারা ছিল তাদেরও জিজ্ঞেস করেছি। প্রিজাইডিং অফিসারদের জিজ্ঞেস করেছি। কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট বন্ধের খবর আমরা জানি না। কিছু হলে ভোটার বেশি ছিল, তাই কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আমরা একসঙ্গে ভবনে যেতে পারিনি। কিন্তু প্রত্যেকটা কেন্দ্রে গেছি। প্রতিটা প্যানেলের এজেন্টদের জিজ্ঞেস করেছি, তারাও কোনো অভিযোগ করেনি। শফিকুল আলম আরও বলেন, অভিযোগ দেখলে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতাম। আমাদের দৃষ্টিতে যা আছে, তাই আপনাদের জানিয়েছি।

বহিরাগত অনেকে প্রবেশ করেছেন এমন প্রশ্নে বলেন, আমরা আসলে কাউকে চিনি না। তাৎক্ষণিক জানতে পারিনি। যদি জানতাম তদন্ত করতে পারতাম। আমাদের প্রত্যেকের মতামত হলো, ভোট গ্রহণের কোনো ত্রুটি ছিল না। তবে শিক্ষার্থী বিবেচনায়, কেন্দ্র নির্ধারণ করা উচিৎ ছিল। এটা জরুরি। কোনো জালভোট ও কালি মুছে ভোট দেওয়ার অভিযোগ আমরা পাইনি-জানান তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত