
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের প্রতিটি কর্মী ও নেতাকে জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শপথ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দলের প্রতিটি কর্মী ও নেতাকে জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে শপথ নিতে হবে। নিজ নিজ এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। এভাবেই নিজেদের মধ্যে রূপান্তর ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার দিনবপ্যাপী বিশেষ চিকিৎসা ক্যাম্প শেষে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারেক রহমান প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি গাবতলীর বাগবাড়ি ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত চিকিৎসা ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. জুবাইদা রহমান বক্তৃতা করেন। ডা. জুবাইদা রহমান তার বক্তৃতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে চিকিৎসা ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ডক্টরস অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ডা. শাহ্ মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, ও আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষিতে উন্নয়নের জন্য দলের পক্ষ থেকে নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, যদি ভবিষ্যতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায় তাহলে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার বাগবাড়ি শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে সকাল ১০টা থেকে বিশেষ চিকিৎসা ক্যাম্প শুরু হয়। সেখানে দেশ সেরা বিশেষজ্ঞসহ অন্তত দেড় শতাধিক চিকিৎসক রোগী দেখেন। সাধারণ রোগীদের পাশঅপাশি হৃদ রোগ, ডায়াবেটিস, কিডনীসহ নানা জটিল রোগীদেরও চিকিৎসাপত্র এবং বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ওই ক্যাম্পের মাধ্যমে ৫ হাজার রোগীর চিকিৎসা প্রদানের পরিকল্পনা করা হলেও শেষ পর্যন্ত ৭ হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।