প্রশ্ন : জনৈকা নারীর ওপর হজ ফরজ হয়েছে; কিন্তু এমন কোনো পুরুষ নিকটাত্মীয় নেই, যে হজ করতে গেলে তার সঙ্গে মাহরাম হিসেবে যেতে পারে; এখন তার করণীয় কি?
উত্তর : নারীদের মাহরাম না থাকলে তার ওপর হজ ফরজ হয় না। তার যদি হজ করার খুবই ইচ্ছে থাকে, তাহলে বদলি হজ করাতে পারে। তবে মাহরাম ছাড়া হজ করা নিষেধ হওয়া সত্ত্বেও যদি সে মাহরাম ছাড়াই হজ করে ফেলে, তাহলে হজটি মাকরুহের সঙ্গে আদায় হয়ে যাবে। (আল বাহরুর রায়েক : ২/৫৫২)।
প্রশ্ন : স্বামীর সামর্থ্য থাকায় সে তার স্ত্রীকে নিয়ে হজ করেছে। এখন ওই স্বামী মারা যাওয়ার পর সামর্থ্য হলে পুনরায় হজ করা ফরজ হবে নাকি, তার স্বামীর সঙ্গে করা আগের হজ দিয়েই তার ফরজ হজ আদায় হয়ে গেছে?
উত্তর : হজ করার সামর্থ্য না থাকা অবস্থায় নিজের পক্ষ থেকে হজ আদায় করে ফেললে পরবর্তীতে হজ করার সামর্থ্য অর্জিত হলেও দ্বিতীয়বার হজ ফরজ হয় না। অসমর্থ্য থাকা অবস্থায় আদায় করা হজই ফরজ আদায়ের জন্য যথেষ্ঠ হবে। সুতরাং স্ত্রীর ওপর পুনরায় হজ ফরজ হয়নি। (ফাতহুল কাদির : ২/৪১৬)।
প্রশ্ন : কারও ওপর হজ ফরজ হয়নি এবং সে হজ করেনি, এমন ব্যক্তিকে দিয়ে বদলি হজ করালে তা শুদ্ধ হবে?
উত্তর : হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির দ্বারা বদলি হজ করালে তা সহিহ হবে। তবে যে হজ করেছে, এমন ব্যক্তিকে দিয়ে বদলি হজ করানো উত্তম। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/৪৫৬)।
প্রশ্ন : কোনো ব্যক্তি সরকারি খরচে হজে গেলে হজ কবুল হবে?
উত্তর : যদি ইখলাসের সঙ্গে হজের শর্তাবলি পূর্ণরূপে আদায় করে, তাহলে সরকারি খরচে হজে গেলে হজ কবুল হবে। আর কারও আর্থিক সহযোগিতায় হজে যেতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যদি জানা যায়, হারাম টাকা দিয়ে পাঠানো হচ্ছে, তাহলে হজে যাওয়া যেমন জায়েজ হবে না, তেমনি হজ কবুলও হবে না। (মাজমাউল আনহুর : ৪/১৮৬)।