ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সীমান্ত দিয়ে ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

সীমান্ত দিয়ে ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

দেশের দুই জেলার সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বুধবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাটরাই এলাকায় ৭টি পরিবারের ১৯ জনকে আটক করে বিজিবি। তাদের সীমান্তের ভারতীয় অংশে জড়ো করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। তাদের মধ্যে ৫ পুরুষ, ৯ নারী ও ৫ জন শিশু আছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন নিজেদের নড়াইলের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। অন্য দুজন কুষ্টিয়া ও খুলনার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ বলেন, বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের থানায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলমান।

এদিকে জৈন্তাপুরের শ্রীপুর রাংপানি এলাকা থেকে ১৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, আটজন নারী ও তিন শিশু আছে। তাদের জৈন্তাপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা ৯ পরিবারের সদস্য। তাদের মধ্যে পাঁচজন যশোর; হবিগঞ্জ, নরসিংদী, সিলেট ও সাতক্ষীরার একজন করে চারজন এবং নড়াইল ও বরিশালের দুজন করে চারজন বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন।

সিলেটের ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে আটক ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানা গেছে। তারা বিভিন্ন সময় অবৈধ পথে ভারতে গিয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান বলেন, আটক ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকুট সীমান্তে বুধবার সকালে আরও ২১ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। বিজিবি জানায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আটটি পরিবারের ২১ জন আছেন। তাদের মধ্যে ৪ পুরুষ, ১৫ নারী ও দুটি শিশু আছে। তারা জানায়, সিলেটে ৩, যশোরে ৫, নড়াইলে ৪ ও সাতক্ষীরায় ৮ জনের বাড়ি। লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক জানান, সীমান্ত দিয়ে পাঠানোর পর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের আটক করেছে বিজিবি। তাদের ছাতক থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত