
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপ-প্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আলমগীর আল মামুনের আদালতে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। অভিযোগে তানভীর সিরাজ বলেন, অপরাধী চক্রের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু সারজিস আলম প্রকৃত ঘটনা না জেনেই সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) বিএনপিকে জড়িয়ে নানা অপ-প্রচার চালিয়েছেন, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, এরইমধ্যে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আটজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন। যেখানে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি বাদী হয়ে মামলাটি রুজু করেছি। আশা করি, ন্যায়বিচার পাব। বাদী পক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আলমগীর আল মামুনের বেঞ্চে মামলাটির আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ৭ আগস্ট রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘গাজীপুরে এক বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি নিয়ে নিউজ করায় দুপুরে আনোয়ার নামের এক সাংবাদিককে ইট দিয়ে থেঁতলে দেয় বিএনপির কর্মীরা। দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সাংবাদিক তুহিনকে গাজীপুরের চৌরাস্তায় চা দোকানে রাতে জবাই করে হত্যা করেছে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা! আনোয়ার এবং তুহিন বন্ধু ছিলেন।’
তবে পরদিন সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে পোস্টটি সম্পাদনা করে ‘চাঁদাবাজ’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ছিনতাইকারী’ লেখেন সারজিস আলম।