টার্নওভারের উপর ভ্যাট নির্ধারণ পদ্ধতি বাতিল করে মুনাফার (ভ্যালু অ্যাডের) উপর কর নির্ধারণসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। দোকান ব্যবসায়ীদের ব্যবসার টার্নওভারে আগে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট মুক্ত ছিল, কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে তা কমিয়ে ৩০ লাখ করা হয়েছে। তাই দাবি না মানলে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে সমিতিটি।
গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ডিআরইউ-এ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান মাহমুদ ও ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মো. আরিফুর রহমান টিপু। নেতারা বলেন, বর্তমানে দোকান ব্যবসায়ীদের উপর আরোপিত ভ্যাট পদ্ধতিতে পাঁচটি খাতা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা আছে। এই করপদ্ধতির কারণে আইনজীবী নিয়োগ দিতে হয়। এর পরিবর্তে অধিকাংশ দোকান ব্যবসায়ী এনবিআর-এর লোককে ঘুষ দিয়ে মুক্তি পান। তারা বলেন, টার্নওভারের উপর ভ্যাট দেয়ার পরিবর্তে ভ্যালু অ্যাডের উপর কর বসালে এটা সহজ হবে এবং সরকারের কোষাগারেও বেশি টাকা যাবে। বর্তমান পদ্ধতিতে দোকান মালিকরা বাড়তি টাকা দিলেও তা সরকারের কোষাগারে না গিয়ে যাচ্ছে রাজস্ব বোর্ডের অসাধু লোকদের পকেটে। দোকান ব্যবসায়ীরা ভালো নেই, বিক্রি কমে গেছে। ২০১৮ থেকে করোনার সময়ে মন্দার কবলে পড়ে অনেক দোকান ব্যবসায়ী খেলাপি হয়েছে। সংকটে থাকা এ সব দোকান ব্যবসায়ীদের খেলাপি ঋণ ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ১৫ বছরের কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপনের জারির দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট আদায়ে ভ্যাট মেশিন ইএফডি না বসানোর দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, কিছু দোকানে ইএফডি বসানো হয়েছে, কিছু দোকানে বসানো হয়নি।
এর ফলে যে সব দোকানে মেশিন বসানো হয়নি সব দোকানে কাস্টমার আসে না। বৈষম্য দূর করতে সব দোকান থেকে ইএফডি প্রত্যাহার করতে হবে।
