ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সাধারণ সদস্যদের দাবির মুখে সম্প্রতি বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন (বিসিসিএমইএ)-এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্টমুক্ত বিসিসিএমইএ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সাধারণ সদস্যরা। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের দোসর যারা বিগত বছরগুলোতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে চারকোল সেক্টর থেকে ফায়দা লুটেছে, এই শিল্পের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করেছে তাদের অনেকেই প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ চারকোল ব্যবসায়িরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে। সর্বশেষ কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি ও সভাপতি প্রার্থী জয় হোসাইন যিনি চায়না আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আরেক সহ-সভাপতি প্রার্থীহীর ‘মুন্সী বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও পলাতক আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে আব্দুর রহমানের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমানের বিভিন্ন কার্যক্রমে সে প্রতিনিয়ত অর্থদান করত’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শরীয়াতপুরের এক চারকোল ব্যবসায়ী বলেন জুলাই বিপ্লবের শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে আওয়ামী দোসরদের আমরা কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছে এবং যাদের বিরুদ্ধে বিগত জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের বিপক্ষে অর্থায়নের অভিযোগ আছে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের জোর দাবি জানান ফরিদপুর এলাকায় আরেকজন ভোটার ও চারকোল ব্যবসায়ী। খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সহ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সমূহকে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনের অচলাবস্থা দূরকরণে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণের এবং উদীয়মান রপ্তানিমুখী একটি খাতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার।
