খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, শহিদ মীর মুগ্ধরা জীবন দিয়ে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। মুগ্ধদের আত্মত্যাগ দেশকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে।
এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের। মীর মুগ্ধর মতো দেশপ্রেমিক ছাত্র তৈরি করতে পেরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। তার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি বলেন, ৮ সেপ্টেম্বর মীর মুগ্ধর স্মরণ সভায় শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো করেছিল, তা সিন্ডিকেটের ২৩০ তম সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে প্রতিবছর ১৮ জুলাই ‘শহিদ মীর মুগ্ধ দিবস’ পালন, টিএসসি ভবনের সম্মুখে শহিদ মীর মুগ্ধর স্মৃতিস্তম্ভ/স্মৃতিফলক নির্মাণ, রাষ্ট্রের কাছে শহিদ মীর মুগ্ধ হত্যার বিচার চেয়ে আবেদন এবং এই আন্দোলনে সব শহিদের স্মরণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরে ‘জুলাই’ ২৪ গণহত্যা’ নামে একটি স্মৃতি কর্নার করা হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি আন্দোলনরত ক্লান্ত-শ্রান্ত শিক্ষার্থী-জনতাকে পানি পান করাচ্ছিলেন। ‘ভাই, পানি লাগবে পানি’ বলে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য সব বাংলাদেশির হৃদয়ে গেঁথে আছে। মীর মুগ্ধ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিলেন সবার প্রিয় পরিচিত মুখ। ছাত্র হিসেবে তিনি একদিকে যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমনি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও ছিলেন পারদর্শী। সদা হাস্যোজ্জ্বল মুগ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্রই যেন মুগ্ধতা ছড়িয়ে রেখেছিলেন।